নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েই ছিল রোমা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ফল কি ভাবতে পেরেছিলেন দলটির সমর্থকেরা? দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় অসম্ভবভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে রোমাকে ভেলকি দেখাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অন্যদিকে ভিয়ারিয়ালের মাঠে হোঁচট খেল প্রাথমিকভাবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগদানে প্রত্যাশী ‘বিগ সিক্স’-এর এক ক্লাব আর্সেনাল।
ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৬-২ গোলে জিতে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে আর্সেনাল। হারের হতাশা সঙ্গী হলেও মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোল নিয়ে ফেরার স্বস্তি আছে মিকেল আর্তেতার দলের।
আগামী বৃহস্পতিবার ফিরতি লেগে আর্সেনাল খেলবে নিজেদের এমিরেটস স্টেডিয়ামে। ইউনাইটেড যাবে রোমার আঙিনায়।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইউনাইটেড। যদিও নবম মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল তারা। এদিনসন কাভানির থ্রু বল ধরে ডান পায়ের নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। এই অর্ধে গোলের উদ্দেশে নেওয়া দুই শটেই সফল রোমা। পঞ্চদশ মিনিটে ডি-বক্সে পল পগবার হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে সমতা টানেন লরেন্সো পেল্লেগ্রিনি। ৩৩তম মিনিটে পেল্লেগ্রিনির বাড়ানো বল জালে জড়ান এদিন জেকো। এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় সেরি আর দলটি। বিরতির পরপরই সেই স্বস্তি উবে যায় তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের্নান্দেসের পাস ধরে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন কাভানি। ঘুরে দাঁড়ায় ইউনাইটেড। ৬৪তম মিনিটে কাছাকাছি অবস্থান থেকে ডান পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড। পল পগবা থেকে অ্যারন ওয়ান-বিসাকা হয়ে বলটি পেয়েছিলেন তিনি। ৭১তম মিনিটে ফের্নান্দেসের পেনাল্টি গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে প্রতিযোগিতার ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা। বক্সে কাভানি ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। চার মিনিট পর কর্নার থেকে পগবা হেডে লক্ষ্যভেদ করলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় ইউনাইটেডের। ৮৬তম মিনিটে ম্যাসন গ্রিনউডের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।
এদিকে, ভিয়ারিয়ালের মাঠে প্রথমার্ধে আর্সেনালের খেলায় ছিল না প্রত্যাশিত ধার। তিন প্রচেষ্টার কোনোটিই তারা গোলমুখে রাখতে পারেনি। অন্যদিকে, গোলের উদ্দেশে নেওয়া তিন শটের দুটিতে লক্ষ্যভেদ করে স্প্যানিশ দল ভিয়ারিয়াল। পঞ্চম মিনিটে ডান পায়ের শটে ভিয়ারিয়ালকে এগিয়ে নেন মানু ত্রিগেরোস। ২৯তম মিনিটে কর্নারের পর ছোট ডি-বক্সের কাছাকাছি থাকা রাউল আলবিওল ডান পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৫৭তম মিনিটে দানি সেবাইয়োস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ২০১৯ সালের রানার্সআপ আর্সেনালের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা কঠিন হয়ে যায়। ৭১তম মিনিটে নিকোলাস পেপের সফল স্পট কিকে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় আর্সেনাল। ডি-বক্সে বুকায়ো সাকা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। এতিয়েন কেপু ৮০তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ভিয়ারিয়ালও। কিন্তু বাকিটা সময়ে সমতাসূচক গোলের দেখা পায়নি আর্সেনাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।