পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কফি সাধারণত পশ্চিমা দেশের অন্যতম পানীয় হলেও বিশ্বের সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়। কফি পান করেননি এমন লোক কমই আছে। কফি এখন সম্ভাবনার ফসল হয়ে উঠছে বাংলাদেশে। কফি চাষে অনেকেই উৎসাহের সঙ্গে এগিয়ে আসছেন। পাচ্ছেন সফলতাও। পাহাড়ের ঢালু অংশের উর্বর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে কফি চাষ করে ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
পার্বত্য খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে দুই একরের মতো জমিতে ৩৭০টি গাছে কফি ধরেছে। গবেষণা কেন্দ্রের সহায়তায় জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগেও বাড়ছে কফির আবাদ। কফি চাষেই সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন পাহাড়ি চাষিরা। ভবিষ্যতে পাহাড়ি এলাকায় কৃষক পর্যায়ে কফি চাষের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিশ্চিত করা গেলে এটি হবে পাহাড়ের অন্যতম অর্থকারী ফসল।
তবে উৎপাদিত কফির সহজ বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপিত হলে কৃষকরা কফি চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, দেশে কফির বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হলে বিদেশ থেকে আমদানি কমিয়ে উল্টো রফতানি করা যাবে।
২০০১ সালের দিকে খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় কফি চাষ। এরপর জেলার দশটি বাগানে ১০ হাজার চারা লাগানো হয়। ইতোমধ্যে কফি চাষ স¤প্রসারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কৃষিবিদরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০ ফুট উপরে যেকোনো মাটিতে কফি চাষ করা সম্ভব। পাহাড়ি উপত্যকা ও ঝরনার পাশের জমি এবং লবণাক্ততা নেই এমন জমি কফি চাষের উপযোগী। চারা রোপণের ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে কফির ফল-গোটা সংগ্রহ করা যাবে। কফির গোটাগুলো দেখতে অনেকটা গমের মতো।
একটি গাছ ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে ফল দেয়। প্রতিটি গাছের জন্য খরচ হয় মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। একটি গাছ থেকে বছরে ৫০০ গ্রাম ওজনের বেশি কফির শুকনো ফল পাওয়া যায়। কফি গাছ থেকে শুধুমাত্র পানীয়ই নয়। গাছের অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে মধু ও শ্যাম্পু তৈরি করা যায়।
একটি কফি গাছের ফুল থেকে প্রতিবারে ১০০ গ্রাম মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে চাষকৃত অ্যারাবিয়ান (মিশরীয়) জাতের কফি অত্যন্ত সুস্বাদু, ঘ্রাণযুক্ত এবং বাজারের কফির চেয়ে অনেক বেশি মানসম্পন্ন।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রশিদ আহমেদ মুন্সী জানান, তারা বিশ বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে কফি চাষ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সুফল মিলছে। এক একরে রোবাস্তা জাতের ৩৯৫ ও অ্যারাবিকা জাতের ২০০টি গাছ রোপন করা হয়েছে। ফলন মৌসুমে প্রতিটি গাছ থেকে সাত-আট কেজি বিন পাওয়া যায়।
খাগড়াছড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন জানান, বর্তমানে পার্বত্য জেলায় ১০২ হেক্টর জমিতে কফি আবাদ হচ্ছে। যার মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২১ টন কফি। তবে গবেষণার সাফল্য হিসেবে খুব দ্রæতই বারি কফি-১ রিলিজ দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।