মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব অনলাইন ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অন্যতম শীর্ষ নেতা ও প্রধান সামরিক কৌশল নির্ধারক আবু মুহাম্মদ আল-আদনানি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন)।
এর আগে রাশিয়া দাবি করেছিল, তাদের হামলায় আদনানি নিহত হয়েছেন।
এরও আগে আদনানিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু তার নিহত হওয়ার কথা তখন নিশ্চিত করেনি দেশটি।
আইএসের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আদনানি, তার মাথার জন্য পাঁচ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
আইএসের আরেকটি প্রচলিত নাম ব্যবহার করে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের তথ্য সচিব পিটার কুক বলেন, “সিরিয়ার আল বাবের নিকটে চালানো ওই হামলা আইএসআইএল (আইএস) এর শীর্ষ প্রচারক, সদস্য সংগ্রাহক ও বিদেশে চালানো সন্ত্রাসী অভিযানের প্রধানকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আইএসআইএল নেতাদের বিরুদ্ধে চালানো ধারাবাহিক সাফল্যজনক আঘাতের মধ্যে এটি একটি। এসব নেতারা অর্থের যোগান ও সামরিক পরিকল্পনাগুলোর জন্য দায়ী ছিল। (এদের হারিয়ে) গোষ্ঠীটির পক্ষে কার্যক্রম চালানো আরো কঠিন হয়ে উঠবে।”
তিনি জানান, ৩০ অগাস্টের ওই বিমান হামলায় একটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল, ড্রোনটি আদনানিকে বহনকারী গাড়িতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
তবে আদনানির মৃত্যু নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র দুই সপ্তাহ সময় কেন নিলো তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল, আলেপ্পোর উত্তরে উম্ম হাবাশ গ্রামে তাদের এসইউ-৩৪ বোমারুর বোমাবর্ষণে যে ৪০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে আদনানি তাদের একজন ছিলেন। কিন্তু রাশিয়ার এই দাবিকে ‘কৌতুক’ অভিহিত করে খারিজ করে দেয় পেন্টাগনের কর্মকর্তারা।
কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তার বিস্তারিত প্রকাশ না করে আইএস-সংশ্লিষ্ট বার্তা সংস্থা আমাক জানিয়েছিল, “আলেপ্পোর বিরুদ্ধে চালানো সামরিক বাহিনীর হামলা প্রতিহত করার অভিযানে দায়িত্বপালনের সময় আদনানি শহীদ হয়েছেন।”
আইএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আদনানি আইএসের মুখপাত্রও ছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় টাউন বানাশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
২০১৪ সালের জুনে তিনি আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির নেতৃত্বে সিরিয়া ও ইরাকের দখলকৃত এলাকায় আইএসের খিলাফত প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি চলতি বছরের প্রথমদিকে রমজান মাসে পশ্চিমা দেশগুলোসহ ‘শত্রুদের’ ওপর হামলার ডাক দিয়েছিলেন। তার ওই ডাকে সাড়া দিয়ে আইএসের অনুসারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অরলান্ডো নৈশ ক্লাবে নির্বিচার গুলিবর্ষণ, ফ্রান্সের নিস শহরে ট্রাক হামলা ও ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বোমা হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।