Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফাইনালে পথে এগিয়ে গেল সিটি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ২:৫৬ এএম | আপডেট : ৩:২৫ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে পুরোই খেই হারিয়ে ফেলল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। বিপরীতে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় তুলে নিল ম্যানচেস্টার সিটি।

সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে বুধবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার দল। মার্কিনিয়োসের গোলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন কেভিন ডে ব্রুইনে। পরে ব্যবধান গড়ে দেন রিয়াদ মাহরেজ।

শেষ ষোলোয় বার্সেলোনা ও কোয়ার্টার-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারানোর নায়ক কিলিয়ান এমবাপে এবার করতে পারেননি তেমন কিছু। পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার দারুণ দুটি সুযোগ তৈরি করলেও সাফল্যের দেখা পাননি।

বিপরীতে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না সিটি। তবে তাদের প্রথম গোলের পর সবকিছু বদলে যায়। শেষের মিনিট পনের ১০ জন নিয়ে খেলা প্রতিপক্ষে চাপ ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গুয়ার্দিওলার শিষ্যরা।

মাঝমাঠের ছোট্ট ভুলে দ্বিতীয় মিনিটেই বিপদে পড়তে পারতো সিটি। তবে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে দুর্বল শট নিয়ে বসেন নেইমার।

এরপর বেশ খানিকটা সময় ধরে টানা আক্রমণ করতে থাকে সিটি, বলের দখল পেতে লড়ছিল পিএসজি। চাপ সামলে ত্রয়োদশ মিনিটে আবারও ভীতি ছড়ায় পিএসজি। তবে ডি-বক্সে একজনকে কাটিয়ে নেইমারের নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান এদেরসন।

পঞ্চদশ মিনিটে মেলে গোলের দেখা। ডান দিক থেকে আনহেল দি মারিয়ার দারুণ কর্নারে লাফিয়ে কোনাকুনি হেডে দলকে এগিয়ে নেন মার্কিনিয়োস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের শেষ ১২ ম্যাচে এই নিয়ে পাঁচ গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

প্রতিপক্ষের বিপজ্জনক সব আক্রমণ সামলে পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিল সিটি; কিন্তু মিলছিল না সুযোগ। ২১তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার দুরূহ প্রচেষ্টা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি পিএসজি গোলরক্ষককে। খানিক পর দি মারিয়ার দারুণ পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন নেইমার।

৪২তম মিনিটে প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পায় সিটি। কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ফিল ফোডেন। পাঞ্চ করে ফেরান কেইলর নাভাস।


বিরতির পর ম্যাচের গতি কিছুটা কমে আসে। এর মাঝেই ৬৪তম মিনিটে পিএসজিকে হতবাক করে সমতায় ফেরে সিটি। ছোট কর্নারে বল ধরে বাঁ দিক থেকে দারুণ এক ক্রস বাড়ান ডে ব্রুইনে। বল সবার ওপর দিয়ে গিয়ে এক ড্রপে খানিকটা বাঁক নিয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়। বলে তেমন গতি ছিল না, তারপরও জায়গা থেকে নড়ার সুযোগ পাননি নাভাস। যেন বলে গতি-প্রকৃতি বুঝতেই পারেননি তিনি।

৭১তম মিনিটে পিএসজির পিছিয়ে পড়া গোলে কিছুটা দায় আছে তাদেরও। মাহরেজের ফ্রি কিকে বল লাফিয়ে ওঠা রক্ষণ প্রাচীরে কিম্পেম্বে ও পারেদেসের মাঝ দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়।

পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে উঠবে কী, ছয় মিনিট পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। ইলকাই দিনদোয়ানকে পেছন থেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গেয়ি।

এক জন কম নিয়ে বাকি সময়ে আর তেমন কিছু করতে পারেনি তারা। সিটি দুবার স্বাগতিকদের ডি-বক্সে ভীতি ছড়ালেও বড় কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ