মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বে সামরিক ব্যয় কমেনি, বরং বেড়েছে। সুইডিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) সা¤প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ২০২০ সালে সামরিক খাতে দেশগুলো প্রায় দুই লাখ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে দুই দশমিক ছয় শতাংশ বেশি। সামরিক ব্যয়ে শীর্ষ পাঁচটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়া ও ব্রিটেন। গোটা বিশ্বে মোট সামরিক ব্যয়ের ৬২ ভাগই করেছে এই দেশগুলো। খবর ডয়চে ভেলের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বড় বড় দেশে কিছু প্রতিরক্ষা তহবিল স্থানান্তর করা হলেও বিশ্বে মোট সামরিক ব্যয় কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে। ২০২০ সালে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে পাঁচটি দেশ। তাদের সম্মিলিত ব্যয় বিশ্বজুড়ে মোট ব্যয়ের ৬২ শতাংশ। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য। এসআইপিআরআইর গবেষক দিয়েগো লোপেজ দ্য সিলভা বলেছেন, কিছু নিশ্চয়তাসহ আমরা বলতে পারি ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয়ের ওপর মহামারির উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ছিল না। মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী জিডিপি হ্রাস পেলেও জিডিপির অংশ হিসেবে সামরিক ব্যয়ের বৈশ্বিক গড় ২০১৯ সালের চেয়ে দুই দশমিক দুই শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০ সালে দুই দশমিক চার শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও চিলি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো কিছু দেশ তাদের পরিকল্পিত সামরিক ব্যয়ের কিছু অংশ মহামারি মোকাবিলার জন্য স্থানান্তর করেছে। এ ছাড়া ব্রাজিল ও রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ২০২০ সালের জন্য তাদের প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত বাজেটের চেয়ে অনেক কম ব্যয় করেছে। ২০২০ সালে সামরিক খাতে ৭৭৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যয় ২০১৯ সালের চেয়ে চার দশমিক চার শতাংশ বেশি। বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে ২০২০ সালের বৈশ্বিক মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৯ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। এ নিয়ে টানা তৃতীয় বছরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় বাড়ল। এর আগে টানা সাত বছর ধরে দেশটি এ খাতে ব্যয় হ্রাস করেছিল। গত বছর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় ছিল চীনের। ওই বছর এ খাতে দেশটির মোট হিসাবকৃত ব্যয় ২৫২ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের চেয়ে যা এক দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। চীনের সামরিক ব্যয় গত ২৬ বছর ধরে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এসআইপিআরআইর তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিঘ্ন ছাড়াই সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে ধারাবাহিকভাবে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করা একমাত্র দেশ চীন। স¤প্রতি এক সমীক্ষায় বলা হয়, সামরিক শক্তি বৃদ্ধির হারে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে দিয়েছে চীন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তাদের সামরিক বাহিনীর কলেবরও বড়। এখন এর সঙ্গে তারা অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র যোগ করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই গতিতে এগোতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধরে ফেলবে বেইজিং। ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।