Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নন-করোনা ইউনিটে খালেদা জিয়া : ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৩১ পিএম | আপডেট : ৯:৩৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২১

রাজধানীর বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গুলশানে চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) যে চিকিৎসা বাসায় চলছিলো সেই চিকিৎসাসহ সেখানে আরো কিছু নতুন ঔষধ যুক্ত করা হয়েছে এবং যোগ করার পরিপ্রেক্ষিতে আলহামদুল্লিলাহ উনি (খালেদা জিয়া) এখন স্টেবল। আজকে একটি মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে। এভার কেয়ার হাসপাতালের ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। আর এই বোর্ডে ম্যাডামের ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, আমি এবং অধ্যাপক মো. আল মামুনও আজকে ছিলেন। অর্থাত ১০ সদস্যের একটা মেডিকেল বোর্ড উনার এই পর্যন্ত যেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার রিভিউ করেছেন। পরবর্তীতে উনাকে তারা পরীক্ষা করে আরো কিছু পরীক্ষার সুপারিশ করেছেন। এই বোর্ডের সুপারিশ মোতাবেক পরীক্ষাগুলো আজকে অথবা কালকে হবে। সেসব পরীক্ষাগুলো রিভিউ করে ম্যাডামের সার্বিক চিকিৎসার প্ল্যানিংটা সম্পন্ন হবে।

অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ম্যাডামের অবস্থা স্টেবল। দেশবাসীসহ দলের নেতা-কর্মীদের কাছে আমি উনার জন্য দোয়া করার কথা বলছি। আমরা খুবই আশাবাদী। ইনশাআল্লাহ ম্যাডাম খুব শিগগিরই উনার বাসায় ফিরে যাবেন। এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত এই মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার।

মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়াকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত রাতে তার সিটি স্ক্যান (চেস্ট), ইসিজি, ইকো প্রভৃতি হৃদরোগে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছে।

কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ গত ১৫ এপ্রিল ম্যাডামের সিটি স্ক্যান করা হয়েছিলো সেখানে আমরা রিপোর্ট দেখে বলেছিলাম ফুসফুসে উনার ‘মিনিমাম ইনভোলবমেন্ট’ আছে। গতকালকে যে চেস্টে সিটি স্ক্যান হয়েছে সেখানে বিন্দুমাত্র ‘ইনভোলবমেন্ট’ নেই। কাজেই আল্লাহ‘র কাছে শুকরিয়া এটা ভালো দিক। উনার হৃদযন্ত্রেরও মধ্যে কোনো ধরনের কার্ডিও সমস্যা নেই। কালকে ডাক্তার সাহেবরা যে পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়েছেন সেই রিপোর্টে নেই।

অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনার কোনো করোনা উপসর্গ নেই। উনি কিন্তু এখন নন করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। আন্তর্জাতিক চিকিৎসার নিয়মই আছেই দুই সপ্তাহের পরে রোগীর কোনো সিমটম না থাকে তাহলে করোনা টেস্ট আর করানোরই প্রয়োজন নেই। তখন ধরে নিতে হবে উনার কাছ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ নেই।

খালেদা জিয়া কবে বাসায় ফিরবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাসায় ফেরার বিষয়টা প্রেডিক্ট করাটা খুব টাফ।উনার পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হলে বোর্ড রিভিউ করবেন। তারপরে আমরা আশা করতে পারি খুব সহসাই উনার বাসায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। খালেদা জিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত আর্থ্রাটাইটিজ, ডায়াবেটিক, চোখের সমস্যায় ভুগছেন।

জাহিদ বলেন, আপনারা তো জানেন যে, উনার অন্যসমস্ত অসুখ রয়েছে অর্থাৎ রেউমেটেড আর্থারাইটিস, অ্যাপিলেট ডিভিশনের যে সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেডিকেল বোর্ডের যে সুপারিশ ছিলো- সিভিয়ার এসিটেন্স। সেই অসুখ তো উনার আছেই। সেই রোগের চিকিৎসার জন্য তার আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন, আধুনিক কেন্দ্রের প্রয়োজন। অর্থাৎ সি নিডস মর্ডার টিট্রমেন্ট ইন এ ডেভেলপ সেন্টার। এই সুপারিশটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ড করেছিলেন। সেটা যদি আমাদের করতে হয়- পরিবারের সদস্যরা অনেক দিন আগে সরকারের কাছে দরখাস্ত করেছেন- উনাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া উচিত সুচিকিৎসার জন্য। সেই তো ওই সময়ে করোনা পরিস্থিতি সার্বিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলন ডা. মোহাম্মদ আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২৫ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ