বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে আত্মহত্যা করেছে ফুলু নামে ২০ বছরের এক তরুণী। এ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে ইজান নবীর মেয়ে ফুলু নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ফুলুর পিতা-মাতা পেশায় দিনমজুর।

নিহতের মা মঞ্জু বেগম জানান, উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা নতুনপাড়ার মো. কালামের ছেলে ট্রাকড্রাইভার সুমনের সাথে চার বছর আগে বিয়ে ঠিক হয় আমার মেয়ের। পরে বিয়েটি ভেঙে যায়। এরপর গত ছয়মাস আগে পুনরায় সুমনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় ফুলুর। বিষয়টি জানাজানি হলে আবারো বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাই। কিন্তু বিয়ের কথা কিছুটা এগোলেও ছেলের পরিবার আবারো তা ভেঙে দেয়।
তবে, গোপনে চলতে থাকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে গত সোমবার সকালে ফুলু গিয়ে উঠেন সুমনদের বাড়িতে। পরে সুমনের বাসা থেকে আমাদেরকে স্থানীয় গণ্যমান্যদের মধ্যে বিয়ের কথাবার্তা হয়। সেখানে গেলে উভয় পরিবার আজ তাদের বিয়ের দিন ধার্য্য করে। তবে, সুমন এই বিয়েতে অসম্মতি জানান। একপর্যায়ে সুমনের সাথে ফুলুর বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। গতকাল সকাল ৮টায় ফুলু ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খেলা শেষে ছোট ভাই বাসায় ফিরে তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি মুঈদ চৌধুরী জানান, ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।