পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাহে রমজানে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি অধিক হারে তাওবাহ ও এস্তেগফার করা উচিত। হজরত আবু হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত তিনি পিয়ারা নবী মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে শ্রবণ করে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন : বান্দাহ আমার সম্পর্কে যেরূপ ধারণা পোষণ করে, আমি তার জন্য ঠিক সে রকমই। সে আমাকে যখনই স্মরণ করে, আমি তার সঙ্গী হয়ে যাই। আল্লাহর শপথ : তোমাদের কেউ কোনো নির্জন ভ‚মিতে তার হারানো ঘোড়া খুঁজে পেলে যতটা আনন্দিত হয়, বান্দাহ তাওবাহ করলে আল্লাহপাক তার চাইতে অনেক বেশি খুশী হন। সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসলে আমি তারদিকে এক গজ এগিয়ে যাই। সে আমার দিকে একগজ এগিয়ে এলে, আমি তার দিকে দুই গজ এগিয়ে যাই। সে আমার দিকে পায়ে হেঁটে অগ্রসর হলে আমি তার দিকে দৌড়িয়ে অগ্রসর হই।’ (সহীহ মুসলিম)।
আরবি তাওবাহ শব্দের অর্থ ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা। শরিয়তের পরিভাষায় তাওবাহ অর্থ কৃতঅপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে, আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুল (সা.)-এর বিধানের দিকে ফিরে আসা। তাওবাহ করার সময় নিজের কৃতঅপরাধ উপলব্ধি করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে। অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে। আল্লাহর শাস্তির ভয়ে অশ্রুবর্ষণ করতে হবে। বিনয় ও আন্তরিকতায় সাথে ক্ষমা ভিক্ষা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে আর অপরাধ না করার অঙ্গীকার করতে হবে এবং এর জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহর রহমত ও সাহায্য কামনা করতে হবে। একই সাথে কিছু কাফফারা প্রদান করা শ্রেয়। যেমন নফল নামাজ পড়ে নেয়া অথবা কয়েকটি নফল রোজা রাখা, অথবা সামর্থ-অনুপাতে কিছু অর্থকড়ি দান করা ইত্যাদি। রোজা যেমন রোজাদারের গোনাহ-খাতা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নির্মূল করে দেয়, তেমনি খালেস তওবাহর দ্বারা ও আল্লাহপাকের আজাব ও গজব হতে মুক্তি লাভ করা যায়। আল্লাহপাক আমাদেরকে তাওবাহকারী বান্দাহ হিসেবে কবুল ও মঞ্জুর করুন। আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।