পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোনো রোজাদারকে ইফতার করানো অশেষ পুণ্যের কাজ। এতদপ্রসঙ্গে হজরত যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন : প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা আহমদ মুজতাবা (সা.) বলেছেন : যে লোক একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার জন্য সে রোজাদারের মতোই সওয়াব লেখা হবে। কিন্তু তাতে মূল রোজাদারের শুভ প্রতিফলন হতে একবিন্দু কম হবে না। (মোসনাদে আহমদ, জামেয়ে তিরমিজি, সুনানে নাসাঈ, সুনানে ইবনে মাজাহ)।
এই হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী যে লোক কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, সে সেই রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করবে। কিন্তু তাতে মূল রোজাদারের জন্য সুনির্দিষ্ট সওয়াবের পরিমাণ বিন্দুমাত্র হ্রাস পাবে না। হজরত সালমান আল ফারেসী (রা.) এর বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নিম্নোক্ত কথাটি অধিকতর বলিষ্ঠ ভাষায় ব্যক্ত হয়েছে। তাহলো এই: যে লোক কোনো রোজাদারকে কিছু হালাল জিনিস খাইয়ে বা পান করিয়ে ইফতার করায়, ফিরিশতারা পুরো রমজান ধরে তার প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং জিব্রাইল র্ফিরিশতা (আ:) কদর রাত্রিতে তার জন্য রহমতের দোয়া করেন। (তাবরানি, ইবনে মাজাহ)। তবে, ইবনে হাব্বানের বর্ণনায় উপরোক্ত বর্ণনায় শেষাংশে কিছু অতিরিক্ত কথা আছে। কথাগুলো এই: জিব্রাঈল (আ:) যার সাথে করমর্দন করেন, তার অন্তর অন্তর নম্র হয় এবং আর চোখের পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। (ইবনে হাব্বান)।
একথার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) কে প্রশ্ন করা হয়, ইফতার করানোর মতো যার কিছু নেই, সে কী করবে? তিনি বললেন : সে এক মুষ্ঠী খাবার দিয়ে ইফতার করাবে। এক লোকমা রুটি বা খাদ্য না থাকলে কি করা যাবে, জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, এক ঢোক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে। আর তাও না থাকলে পানি দিয়েই ইফতার করাবে।
এতে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, সামর্থ্য অনুপাতে যা কিছু দিয়েই ইফতার করাবে, এতে সওয়াবের কোনো হেরকের হবে না । আল্লাহপাক আমাদেরকে ইফতার করানোর সামর্থ্য দান করুন। আমীন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।