Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইলন মাস্কের মডেল, ডায়েটেশিয়ান মা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ৪:১২ পিএম

কয়েকদিন আগেই ৭৩তম জন্মদিন পালন করেছেন মেই মাস্ক। তিনি জানেন কীভাবে নিজের গুরুত্ব ধরে রাখতে হয় এবং আরও জানেন গুরুত্ব কমে গেলেও তিনি অপ্রয়োজনীয় হবেন না। মেই মাস্ক বলেন, ‘আমি কখনো অবসর নিতে চাই না। আমি কাজ করব যত দিন মানুষ আমাকে চায়। যখন আর মানুষ চাইবে না, তখন আমি নতুন কোনো কাজ করব।’

কে এই মেই মাস্ক? তার একটা সহজ পরিচয় হচ্ছে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী কিম্বাল মাস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকার চলচ্চিত্র নির্মাতা টোসকা মাস্কের মা। তবে এটা তার পরিচয় নয় মোটেই। বরং এভাবে পরিচয় দিলে ঠিক হয় যে এই তিন সফল ব্যক্তিত্ব মেই মাস্কের সন্তান। কারণ তিনি একজন নামকরা সুপারমডেল, যার দাপুটে উপস্থিতি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে, ফ্যাশন শোর রানওয়েতে। তার সাদা চুল, কুঁচকে আসা ত্বক—সবকিছু মিলিয়ে মেই মাস্ক আত্মবিশ্বাসে অনন্য। এই আত্মবিশ্বাসের কারণেই তিনি শুধু একজন মডেল নন, ফ্যাশন ও বিউটি কোম্পানিগুলো তাকে নিয়োগ দেয় বক্তা হিসেবে। কারণ, মেই একজন ডায়েট বিশেষজ্ঞ।

মডেলদের ক্যারিয়ার যেখানে ২৫ বছরেই শেষ হয়ে যায়, মেই মাস্কের এই সাফল্য কীভাবে? একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিনের এই প্রশ্নের জবাবে মেই মাস্ক বলেছিলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম ১৮-তেই শেষ হয়ে যায়। আমাদের সময় তা-ই হতো। কিন্তু ভাগ্য ভালো আমি মডেল হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিবিদও ছিলাম। তাই বেশি কষ্ট হয়নি।’

মুখে স্বীকার না করলেও মেই মাস্ক জীবনে খেটেছেন অনেক। তার জীবনও ছিল অন্যদের থেকে আলাদা। মেইর মা-বাবা কানাডীয়। কিন্তু তিনি বড় হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাতে একটা প্লেনে। ঠিক শুনেছেন, প্লেনেই। সব মা-বাবা যখন ছেলেমেয়েদের বাড়িতে রেখে গাড়িতে করে ঘোরান, মেই মাস্কের বাবা প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. জসুয়া নরমান হাল্ডেম্যান ছেলেমেয়েদের কালাহারি মরুভূমিতে বড় করেছেন। তাঁর একটা ছোট প্রপেলার প্লেন ছিল। সেটাই ছিল বাড়িঘর।

১০ বছর পর্যন্ত হাল্ডেম্যান প্লেনে করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তো বেড়ানোর ফাঁকফোকরে যে লেখাপড়া করেছিলেন, সে-ও কম নয়। ডায়েট, পুষ্টি—এই দুই বিষয়েই তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি। মডেলিংও শুরু করেছিলেন সেই বয়সে। ১৯৬৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে ছিলেন। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার এক তরুণ প্রযুক্তিবিদ ইরোল মাস্ককে বিয়ে করেন, কিন্তু মাত্র ৯ বছরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। তিন সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে শুরু হয় মেইর নতুন জীবন।

ছোট থেকে এই জীবনমুখী শিক্ষার জন্যই কি না, মেই মাস্কের ছেলেমেয়েরা যা করেছেন, তাতেই সফল। ইলনের কথা তো সবাই জানেই। তার ছোট ভাই কিম্বাল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে বড় ভাই ইলনের পথ ধরে তিনিও মঙ্গলের দিকে আছেন। সেখানে কিম্বাল জৈবিক সার দিয়ে সবজি চাষের গবেষণার চেষ্টা করছেন। মেই মাস্কের একমাত্র কন্যা টোসকা চলচ্চিত্র নির্মাতা। মেই মাস্কের ব্যাখ্যায় টোসকা তার চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে আধুনিক যুগের নারীদের কথা বলেন, যারা জীবনে অর্থবহ কিছু করেন, যারা জীবনে গুরুত্ব পান, জীবনে জিতে যান। সূত্র: ব্রিফলি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইলন মাস্ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ