পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দোকানপাট, শপিং মল খোলার প্রথম দিনেই রাজধানীর পথে পথে মানুষ চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। গণপরিবহন নেই, তারপরও জট লাগছে ছোট যানবাহনের কারণেই। সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধের এখনো তিনদিন বাকি, কিন্তু ঢাকার সড়কগুলোতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। গণপরিহনের মধ্যে বাস ছাড়া অন্য সব ধরনের যানবাহনই চলছে। যাত্রাবাড়ি মোড়ে গতকাল দেখা গেল রীতিমত যানজট। গতকাল রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, ফার্মগেট, বিজয়স্মরণী, মহাখালী, সাতরাস্তা, মগবাজার, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, পল্টন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রাবাড়িতে দেখা গেল যানজট। গণপরিবহণ তথা বাস না থাকলেও সব ধরণের পরিবহণ চলছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। ফার্মগেটে কথা হয় গাড়ির চালক রফিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় আজ গাড়ির চাপ বেশি রয়েছে।
কিছু কিছু সড়কে গাড়ির ঝটলা তৈরি হয়েছে। রাস্তায় মানুষের আনাগোনাও বেশি রয়েছে। সেখানে কথা হলে মাহফুজ নামের এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ সড়কে গাড়ি ও মানুষের চাপ বেড়েছে। মানুষ আর ঘরে থাকতে চাইছে না। মার্কেট খুলে যাওয়ার কারণে মানুষ বাইরে আসছে।
কাওরান বাজারে কথা হয় রায়হান নামের এক পথচারীর সাথে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে যাব। একটু কেনাকাটা রয়েছে। ভিড় এড়ানোর জন্যে প্রথম দিনেই যাচ্ছি। মুভমেন্ট পাস নিয়েই বের হয়েছি। শাহবাগে কথা হয় রিকশা চালক আহমদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ রাস্তায় মানুষ বেশি থাকায় ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সকাল থেকে আজ ভালোই ইনকাম হয়েছে। গুলিস্তানের সোহাগ বলেন, গত কয়েক দিনের চেয়ে গুলিস্তানে আজ যানজট বেশি। মানুষ মনে করছে মার্কেট খুলে দিয়েছে; গণপরিবহণ চালুর বার্তা দেয়া হয়েছে। এখন লকডাউনে ঘরে বসে থেকে লাভ কি?
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দোকানপাট ও শপিং মল খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সড়কে যানবাহনের পাশাপাশি বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। কঠোর বিধিনিষেধের তিনদিন বাকি থাকলেও রাজধানীতে যেন সব কিছুই স্বাভাবিক। অনেকেই মুভমেন্ট পাস ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন। মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন চলছে। একজন যাওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতেও দেখা গেছে বেশিরভাগ মোটরসাইকেলকে। মোড়ে মোড়ে ডেকে যাত্রীও নিচ্ছেন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালকরা।
একজন সিএনজি চালক বলেন, মুভমেন্ট পাসের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা এখন ১০০ টাকাও চাঁদা নিচ্ছে। যার কাছ থেকে যত পারে তত নেয়। কারো কাছ থেকে ১০০। কারো কাছ থেকে ৫০০। আগে অন্যায় না করলে আটকানো হতো না। লকডাউনে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে। বের হওয়ার কারণে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।