পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোজা রাখার উদ্দেশে রাতের শেষাংশে কিছু পানাহার করাকে সাহরি খাওয়া বলে। সাহরি খাওয়া সুন্নাত। সাহরি খাওয়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন : নিশ্চয়ই সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে। (মোসনাদে আহমদ)। অপর এক হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকিদসহ এরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি রোজা রাখতে চায়, তার কোনো কিছু খেয়ে সাহরি পালন করা উচিত। অপর এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : মুসলমানদের ও অন্যান্য ধর্মালাম্বিদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া- অর্থাৎ মুসলমানরা সাহরি খেয়ে রোজা রাখে, আর ভিন্নধর্মের লোকেরা সাহরি না খেয়ে রোজা রাখে। সাহরি খাওয়ার শেষ সময় হলো সুবহে সাদিক উদিত হওয়া। এই শেষ সময় পর্যন্ত সাহরি খাওয়া বিলাম্বিত করাই সুন্নাত। পিয়ারা নবী (সা.) বলেছেন : তোমরা রাত্রির শেষদিকে সাহরি গ্রহণ কর। (তাবরানী)।
বস্তুত : রাত্রির শেষদিকে দু’রকম ‘সুবহ’ বা প্রভাত প্রতিভাত হয়। এর একটি হলো ‘সুবহে কাজের। অন্ধকারময় প্রভাত। আর দ্বিতীয়টি হলো সুবহে সাদিক। উজ্জ্বল্যময় প্রভাত। অন্ধকারময় প্রভাতের কালো রং বিলীন হওয়ার পরই উজ্জ্বলময় প্রভাত বা সুবহে সাদেকের আগমন ঘটে।
সাহরি খাওয়ার শেষ সময় হলো সুবহে সাদেক উদিত হওয়া। এতদপ্রসঙ্গে শরহে বেকায়া গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুবহে সাদেক না হওয়া পর্যন্ত সাহরি খাওয়া দুরস্থ আছে। সাহরি খাওয়ার শেষ সময় ও রোজা শুরু করার প্রথম সময় বুঝানোর জন্য আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : ‘ফজর কালের (প্রভাত কালের) কালো সুতা হতে সাদা সুতা যখন স্পষ্ট রূপে পৃথক হয়ে দেখা দেবে তখন পর্যন্ত।’
এই আয়াতে কারিমায় কালো সুতা বলতে সুবহে কাজেবকে বুঝানো হয়েছে এবং সাদা সুতা বলতে সুবহে সাদেককে বুঝানো হয়েছে। কেননা, সুবহে কাজেব রাতের অন্ধকারের অংশ বিশেষ। আল্লাহপাক আমাদের সাহরি গ্রহণ করে রোজা পালন করার তৌফিক এনায়েত করুন। আমীন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।