রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বগুড়ার গাবতলীতে কামাররা এখন মহাব্যস্ত। প্রচ- গরমেও টুং টাং শব্দে মুখরিত কামার পল্লী। ফলে সুদিনের বাতাস বইছে কামার পরিবারগুলোতে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কামারপাড়া ততই সরগরম হয়ে উঠছে। আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝড়ছে অবিরাম ঘাম তবুও দিন-রাত সমানতালে তারা এখন হাঁসুয়া, ছুরি, চাপাতি, দা, বটি, ভোজালি, কুড়াল তৈরি ও শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও ক্রেতারা মাংস কাটার জন্য গাছের গোল টুকরাও ক্রয় করছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবছরে দামটা একটু বেশি। গাবতলী সোনারায়ের সাবেকপাড়া, বামুনিয়া, রামেশ্বরপুরের কামারচট্ট, কাগইলের সুলতানপুর, দাসকান্দি, দক্ষিণপাড়া কৃষ্ণচন্দ্রপুর কামারপল্লী ঘুরে দেখা যায়, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ভোর থেকে গভীর রাত পর্য়ন্ত কামাররা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকে অতিরিক্ত অর্ডার নেয়া কাজ ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে সারা বছরে কম কাজ হলেও এসময়ে কাজ বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পশু জবাই করার জন্য কামারপাড়ায় এখনো শোভো পাচ্ছে পশু জবাই করার বিভিন্ন উপকরণ। সোনারায় সাবেকপাড়া’র নিমাই, মানিক কর্মকার জানান, এবছরে বেশ কাজ পেয়েছি। কাজ বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে। ছোট ও বড় ছুরি শান দিতে ৩০টাকা থেকে ৮০টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি তৈরি করা ছোট ছুরি ৫০টাকা, দা ৩শ’, হাঁসুয়া ১২০টাকা, বটি ২শ’, চাপাতি ২শ’ থেকে ৩শ’ ৫০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাগইল কৈঢোপ গ্রামের ক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে এসেছি। এবারে দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের লোহার পাশাপাশি স্টিলের ছুরি ও চাকু ক্রয় করার চাহিদা বেশি। বামুনিয়া কামার পল্লী এলাকার কৃষ্ণ ও সন্তোষ কর্মকার জানান, বর্তমানে কয়লা ও রডের দাম বেড়ে যাওয়ায় শান দেয়ার মজুরী ৩০টাকা থেকে ১২০টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনেকে শান দিচ্ছে। কর্মকার খিতিশ ও শ্যামল জানান, মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহার সময় আমাদের বেশ আয় হয় তা দিয়ে সারাবছর চালাতে হয় সংসার। রঘুনাথ ও তরুণ কর্মকার জানান, বিশেষ করে ঈদ-উল-আযহার সময় কামার পল্লী’র সবাই কাজে ব্যস্ত থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।