Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ড্রয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টেস্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ৪:৫৫ পিএম

দীর্ঘদিন পর দুর্দান্ত একটি টেস্ট ম্যাচ খেললো বাংলাদেশ। পাল্লেকেলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্টটি অবশেষে ড্র’য়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। দুই দলের খেলোয়াড়দের টানা পাঁচদিনের লড়াই শেষে ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়।

বুধবার (২১ এপ্রিল) মাঠে গড়ায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অন্তভুক্ত দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনেই চালকের আসনে বসে বাংলাদেশ। দিন শেষে পুরো ৯০ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ৩০২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের ৯০ রানের পর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন নামজুল হাসান শান্ত।

দ্বিতীয় দিনও (বৃহস্পতিবার) ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলে বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা ২৫ ওভার কম হলেও ১৫৫ ওভারে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৭৪ রান। প্রথম দিন সেঞ্চুরি হাঁকানো শান্ত থামেন ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে। এছাড়া অধিনায়ক মমিনুল হক ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি তোলোর পর মমিনুল থামেন ব্যক্তিগত ১২৭ রানে।

তৃতীয় দিন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিক ৪৩ এবং লিটন ২৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামেন। দিনের প্রথম সেশনে ১৮ ওভার ব্যাট করে ৬৭ রান যোগ করে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাস ৫০ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুরর রহিম।

তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ গড়ে তুলে। ওপেনিং জুটিতে ১১৪ রানের পার্টনারশীপ গড়েন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে এবং লাহিরু থিরিমান্নে। ৭৩ ওভারে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে মাত্র ৩ উইকেট হরিয়ে ২২৯ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।

৩১২ রান পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা পুরোটা দিন বাংলাদেশকে হতাশ করে। তৃতীয় দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার দিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার জুটিই ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রায় দেড় দিনে ৮৬ দশমিক ৩ ওভার বল খেলে অপরাজিত থাকেন দিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৩২২ রানে করে ১৪ বছরের রেকর্ড ভাঙেন তারা।

দিমুথ করুনারত্নে ডাবল ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে চতুর্থ দিন শেষে চালকের আসে বসে যায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ৩ উইকেটে ৫১২ রান তুলে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ২৯ রানে পিছিয়ে থাকে শ্রীলঙ্কা।

তবে পঞ্চম ও শেষ দিন (রোববার) শুরুতেই উইকেটে দেখা পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার দিমুথ করুনারত্নে এবং ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে পর পর দুই ওভারে তুলে নেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ।

১৬৬ রানে বোল্ড করে ধনাঞ্জয়াকে সাজঘরে ফেরানোর পরের ওভারে আরেক বিধ্বংসী ব্যাটার করুনারত্নে ফেরান তাসকিন। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো করুনারত্নে থামেন ব্যক্তিগত ২৪৪ রানে। এরপর দিনের প্রথম সেশনে শেষে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রানে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়ে ১০৭ রানের লিডে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।

দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে খালি হাতে ফেরা সাইফ হাসান দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ৮ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলা শান্তও দ্বিতীয় ইনিংসে সাজঘরে ফিরের খালি হাতে।

দলীয় ২৭ রানের দুই উইকেট হারানো পর দলের হাল ধরেন ওপেনার তামিম ইকবাল এবং অধিনায়ক মমিনুল হক। মমিনুল ধীর গতিতে খেললেও ওয়ানডে মেজাজে রান তোলেন তামিম ইকবাল। ৫৬ বল খেলে ৭ চার এবং দুটি ছয়ে ফিফটি তুলে নেন তামিম।

তামিম নিজের স্বভাবজাত ব্যাটিং করলেও অন্যপ্রান্তে টেস্ট মেজাজেই ব্যাট করেন অধিনায়ক মমিনুল হক। ৩৩ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান তুলে পঞ্চম ও শেষ দিনের চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে তখনো ৭ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। তবে এরপর আর খেলা মাঠে গড়াতে পারেনি। বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় খেরা বন্ধ থাকায় ম্যাচ ড্র মেনে নেন দুই দলের অধিনায়ক।

৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল। ৯৮ বল খেলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মমিনুল হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ