পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোজা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের ফরজ করা ইবাদত। রমজান মাসেই আল কোরআন নাজিল হয়েছে এবং এ মাসে অধিকহারে কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত করার পথনির্দেশনা ও হাদিস শরিফে উক্ত হয়েছে। হাশরকালে রোজা ও কোরআন রোজাদারও কোরআন তেলাওয়াতকারীদের জন্য সুপারিশ করবে। এই সুপারিশ আল্লাহ জাল্লা শানুহু মঞ্জুর করবেন। এতদপ্রসঙ্গে ‘হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, নূর নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : রোজা ও কোরআন রোজাদার বান্দাহর জন্য শাফায়াত করবে। রোজা ফরিয়াদ করবে, হে আল্লাহ! আমি এ বান্দাহকে রোজার দিনগুলোতে পানাহার ও যৌনপ্রবৃত্তি চারিতার্থ করা হতে বিরত রেখেছি। সুতরাং আপনি এর জন্য আমার শাফায়াত কবুল করুন। আর কোরআন প্রার্থনা করবে, হে আল্লাহ! আমিই এ বান্দাহকে রাত্রিকালে নিদ্রামগ্ন হতে বাধা প্রদান করেছি। সুতরাং তার জন্য আপনি আমার শাফায়াত কবুল করুন। অতঃপর এই দুটি জিনিসের শাফায়াত কবুল করা হবে।’ (বায়হাকী : শুয়াবুল ঈমান)।
এই হাদিসের আলোকে স্পষ্টতই বুঝা যায় যে, মাহে রমজানের দিনের এবং রাতের এবাদতগুলোতে অধিকহারে কোরআন তেলাওয়াত করাই হলো আল কোরআনের শাফায়াত লাভের মোক্ষম উপায়। তারাবি নামাজে অথবা কিয়ামুল্লাইলে অধিক পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ লাভ করা যায়। তাছাড়া দিনের বেলায় ও ফুরসত মতো তেলাওয়াত করা যায়। এ জন্য মাহে রমজানে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা অধিক বাঞ্ছনীয়। এতে করে বাহ্যিক ও আত্মিক উভয় দিকের বরকত লাভের পথ সুগম হয়ে উঠে।
অধিকন্ত রোজার কোনো বাহ্যিক আকৃতি না থাকলে ও হাশরের দিন তা’ আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের নির্দেশ ক্রমে শরীরী হয়ে দাঁড়াবে এবং রোজাদারদের জন্য শাফায়াত করবে। মহান আল্লাহপাক এ দুটি জিনিসের শাফায়াত কবুল ও মঞ্জুর করবেন। এতে কোনোই সন্দেহ নেই। মহান আল্লাহপাক রোজা ও কোরআনের শাফায়াত আমাদের নসিব করুন। আমীন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।