রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আজিজুল হক টুকু, নাটোর থেকে
নাটোরের জমে উঠেছে কোরবানির সবক’টি পশুর হাট। দেশিয় খামারিদের গরু-খাসিতে ভরে গেছে জেলার ১৩টি কোরবানি পশুর হাট। এবার ভারতীয় গরুর তেমন আমদানি না থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশিয় এসব গরু। আর ক্রেতা সংকটে ভুগছে খাসি হাটের বিক্রেতারা। এদিকে ভারতীয় গরু যাতে হাটগুলোতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য নজরদারী রেখেছে হাট কমিটি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নাটোরের হাটগুলোতে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় গরু দেখা যায়নি। তাছাড়া এসব হাটগুলোতে জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন বসিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। অন্যদিকে স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা এবং অসুস্থ গরু যাতে হাটে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সব হাটে মনিটরিং টিম বসানো হয়েছে। এই বছর নাটোর জেলার ৭টি উপজেলায় অনুমোদিত মোট ১৩টি কোরবানি পশুর হাট বসানো হয়েছে। এছাড়াও অনুমোদনবিহীনভাবে বসানো হয়েছে আরো পাঁচটি হাট। হাটগুলোর মধ্যে নাটোর সদরের তেবাড়িয়া, নলডাঙ্গার পৌরসভার হাট, সিংড়ার পৌরসভার হাট, বড়াইগ্রামের মৌখড়া এবং গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় হাট অন্যতম। এবার নাটোরবাসীর কোরবানির চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩৬ হাজার গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। হাটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, দেশিয় গরুর চাহিদা বরাবরের মত বেশি। দেশিয় খামারিদের গরুতেই হাটগুলো ভরে উঠছে। ক্রেতাদেরও বেশি পছন্দ দেশিয় গরু। নাটোর-বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত তেবাড়িয়া হাট। জেলার বাহিরের ব্যবসায়ীরা আসেন এই হাটে। সপ্তাহে রোববার বসে এই হাট। তেবাড়িয়া হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের বেশির ভাগ গরুই দেশি। ইজারাদার দিলীপ কুমার দাসের হিসাব মতে একশত ভাগই দেশিয় গরু। ক্রেতারা বলছেন, এবার ভারতীয় গরু তেমন নাই তাই সব হাটই দেশি গরুর দখলে। ক্রেতারা তাদের শেষ বেলায় বিভিন্ন হাট ঘুরে তাদের সামর্থ্যরে মধ্যে পছন্দের কোরবানির জন্য পশু কিনছেন। সদর উপজেলার তেবাড়িয়া এলাকার সোহেল রানা জানায়, এবার হাটে গরুর দাম বেশি। গত বছর ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা মণ হিসাব ধরে যে গরু কিনেছেন সেটাই এবারে ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা। তাছাড়া এবার হাটের খাজনাও বেড়ে গেছে। গত বছর হাটে বিক্রেতার কাছ থেকে খাজনা নেয়া হতো একশ’ টাকা, আর কিনলে দু’শ টাকা। এদিকে, গরু হাটের মতো জমজমাট খাসির সব হাটও। তবুও ক্রেতা কম থাকায় খাসি বিক্রেতারা কিছুটা হতাশ। গত তেবাড়িয়া হাটে সর্বনি¤œ এক জোড়া খাসি বিক্রি হয়েছে আট হাজার আর সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকায়। খাসি বিক্রেতা নরুল হুদা বলেন, সকাল থেকে এক জোড়া খাসি নিয়ে বসে থাকার পরেও বিক্রি করতে পারেননি। প্রথমে ২৬ হাজার টাকা দাম বললেও পরে ১৮ হাজার টাকা বলায় তিনি বিক্রি করছেন না। হাটে আসা বিক্রেতারা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার হাটের ইজারা খরচও বেশি। যে কারণে অনেকেই তাদের বাড়ির সামনে থেকে কোরবানির পশু কিনছেন। তেবাড়িয়া হাটের ইজারাদার দিলীপ কুমার দাস বলেন, ঈদে ভারত থেকে গরু না আসলেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না কারণ হাটে দেশি জাতের গরু রয়েছে অনেক। আবার এ অঞ্চলের খামারিদের কাছে যে পরিমাণ গরু আছে, তাতেই চাহিদা মিটে যাবে। তাছাড়া দেশিয় খামারিরা যাতে গরুর দাম পায় সেজন্য ভারতীয় গরু যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য নজরদারি রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার বিল্পব বিজয় তালুকদার বলেন, কোরবানির হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘেœ পশু কিনতে পারে সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। তাছাড়া বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জাল নোট সনাক্ত করণের জন্য মেশিন বসিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।