Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাফল্যের তিন যুগে অবস্কিউর এবং টিপু

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশের ব্যান্ড দলগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘অবস্কিউর’। ১৯৮৫ সালে টিপু’র হাত ধরে ব্যান্ড দলটি যাত্রার শুরুতেই শ্রোতাদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। যাত্রার পর থেকে ‘অবস্কিউর’র শ্রোতা-দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আসছে। দলটির ভোকালিস্ট টিপু চাইলেই নিজের একক ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন। কারণ এক সময় তিনি একক অ্যালবাম ‘একাকী একজন’(১৯৯০), ‘ভবের পাগল’ (১৯৯২), ‘রঙধনু হতে চাই’(২০০৭) এবং সর্বশেষ রবীন্দ্র সঙ্গীতের অ্যালবাম ‘সকলই ফুরালো’ (২০০৮) প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ‘অবস্কিউর’কে ছেড়ে একাকী ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে টিপু বলেন, ‘আমার স্বপ্নই ছিলো দলটিকে প্রতিষ্ঠিত করার। যখন নিজের একক অ্যালবামগুলো প্রকাশ করছিলাম, তখন নিজেরই মনের ভেতর এমন বোধোধয় হলো যে এভাবে চলাটা আসলে আমার ব্যান্ড দলের জন্য ক্ষতিকর। সরে দাঁড়ালাম নিজেকে এককভাবে প্রতিষ্ঠার ভাবনা থেকে।’ ১৯৮৫ সালে সারগাম থেকে প্রকাশিত অবসকিউর’র প্রথম অ্যালবাম ছিলো ‘অবস্কিউর ভলিউম ওয়ান’। এই অ্যালবামের ‘মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়’, ‘ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী’, ‘কলিকালের ভন্ড বাবা’সহ আরো বেশ কিছু গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। প্রথম অ্যালবাম দিয়েই ‘অবস্কিউর’ দল হিসেবে সঙ্গীতাঙ্গনেও সাড়া ফেলে দেয়। বিভিন্ন সময়ে ‘অবস্কিউর ভলিউম টু’, ‘স্বপ্নচারিনী’, ‘ফেরাতে তোমায়’, ‘অপেক্ষায় থেকো’, ‘ইচ্ছের ডাকাডাকি’, ‘ফেরা’, ‘অবসকিউর ও বাংলাদেশ’, ‘স্টপ জনোসাইড’, ‘টিটোর স্বাধীনতা’সহ আরো বেশকিছু অ্যালবাম ও গান প্রকাশিত হয়। নিজের গান শেখা এবং সঙ্গীত জীবনে প্রাপ্তি প্রসঙ্গে টিপু বলেন, ‘এটা ভীষণ সত্যি কথা যে গানে আমার প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। ছোটবেলা থেকেই আমি গান শুনতাম শ্রদ্ধেয় মান্না দে, সন্ধ্যা মুখার্জি, লতা মুঙ্গেশকর, আশা ভোসলের গান। বাংলাদেশের ব্যান্ডদল সোলস’র তপন দা’র গান শুনে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তপন দা-ই মূলত আমার গানে আসার মূল অনুপ্রেরণা। তারপর গানের ভুবনে পথচলা, এখনো চলছি। এই দেশের শ্রোতা-দর্শক আমাকে ভীষণ ভালোবাসে। আমি জানি না, তাদের এই ভালোবাসা পাবার যোগ্যতা আমার আছে কিনা। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেবার মতো কাজ করেছি কিনা তাও জানি না। ছোট্ট এই জীবনে মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটাই আসলে বিরাট প্রাপ্তি।’ টিপু বর্তমানে গানের পাশাপাশি বন্ধু আলিমের সঙ্গে গার্মেন্টস ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। তৌকীর আহমেদ’র ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এ এসআই টুটুলের সুর সঙ্গীতে জীবনে একবারই প্লে-ব্যাক করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবস্কিউর
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ