নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই দফায় আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ থাকার পর নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে চতুর্থ দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ উইকেটে ৫১২ রানে শেষ দিন মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা, এখনও তারা ২৯ রানের পিছিয়ে। দিনটা ছিল বাংলাদেশের জন্য হাহাকারময়।
স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৪৯ ওভারে ৫১২/৩ (করুণারত্নে ২৩৪*, ধনঞ্জয়া ১৫৪*); বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৪১/৭ ডিক্লে
ক্যান্ডির ফ্ল্যাট উইকেটকে স্বর্গ বানিয়ে ফেলেছেন ব্যাটসম্যানরা। পরিসংখ্যান বলছে সেই কথা- এই টেস্টে এখন পর্যন্ত ব্যাটিং গড় ১০০। ২০১৪ সাল থেকে শ্রীলঙ্কায় যে কোনও টেস্ট পরের সর্বোচ্চ গড় ৪৪.৭। বোলাররা কোনও সুবিধাই পাচ্ছেন না। তাকে চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা শূন্য। এ নিয়ে টেস্টে চতুর্থ বার বাংলাদেশ গোটা এক দিনে কোনও উইকেট পেলো না। এর আগে ২০০৩ ও ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০০৭ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে এমন হাহাকারময় দিন দেখেছিল তারা।
তৃতীয় দিন চা বিরতির মাঝামাঝি সময়ে জুটি বাঁধা দিমুথ করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সাবলীল ব্যাটিংয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিনও তারাই ক্রিজের এপ্রান্ত-ওপ্রান্ত বদল করে কাটিয়ে দিয়েছেন। এই মাঠে গড়েছেন রেকর্ড জুটি। তারা দুজনে মিলে ৩২২ রান তুলেছেন স্কোরবোর্ডে। আর ১৮ রান করলে দশম লঙ্কান ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন করুণারত্নে। তিনি অপরাজিত আছেন ২৩৪ রানে, ধনঞ্জয়া খেলছেন ১৫৪ রানে।
আলোর স্বল্পতায় ফের বন্ধ ক্যান্ডি টেস্ট
দিনের খেলা শেষ হওয়ার ২২ ওভার আগে আবারও আকাশে মেঘের ঘনঘটা। তাই ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বন্ধ করা হলো শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের প্রথম ক্যান্ডি টেস্ট। দিমুথ করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ৩২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবধান ২৯ রানে কমিয়েছে শ্রীলঙ্কা। খেলা বন্ধের আগে করুণারত্নে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন, আর ধনঞ্জয়া দ্বিতীয়বার দেড়শ রান উদযাপন করে অপরাজিত আছেন।
ধনঞ্জয়ার ১৫০, পাঁচশ ছাড়িয়ে শ্রীলঙ্কা
ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে শাসন করছেন দিমুথ করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তিনশতাধিক রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। করুণারত্নে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পর দেড়শ রান উদযাপন করেছেন ধনঞ্জয়া। তাইজুল ইসলামের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিড অন দিয়ে চার মারেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাতে দ্বিতীয়বার ১৫০ এর ঘরে পৌঁছান। এবার ক্যারিয়ার সেরা ১৭৩ রানকে পেছনে ফেলার পথে ধনঞ্জয়া, যা ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন।
স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৪৮ ওভারে ৫০৩/৩ (করুণারত্নে ২৩০*, ধনঞ্জয়া ১৫০*); বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৪১/৭ ডিক্লে
করুণারত্নের ডাবল সেঞ্চুরি
২০১৭ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে চার রানের জন্য হয়নি ডাবল সেঞ্চুরি। ১৯৬ রানে আউট হয়েছিলেন দিমুথ করুণারত্নে। তিন বছরেরও বেশি সময় পর পাওয়া সুযোগ এবার হাতছাড়া করেননি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। ক্যান্ডি টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪২তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে ক্যারিয়ার সেরা ওই স্কোরকে ছাড়িয়ে পৌঁছে যান ১৯৮ রানে। ওই ওভারেই চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৪১ ওভারে ৪৬৮/৩ (করুণারত্নে ২০২*, ধনঞ্জয়া ১৪২*); বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৪১/৭ ডিক্লে
উইকেটরক্ষক লিটন দাসের একটু সামনে পড়ে বল থার্ড ম্যান দিয়ে বাউন্ডারি হয়। ৩৮৭ বলে ২১ চারে জীবনে প্রথমবার এই অর্জনের দেখা পেলেন করুণারত্নে। আইসিসি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ নয়ে থাকা কোনও দলের বিপক্ষে ছয় বছরে কোনও লঙ্কান ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এটা। সবশেষ ২০১৫ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে কুমার সাঙ্গাকারা দ্বিশতক হাঁকান।
প্রতিকূলতা কাটিয়ে ফের মাঠে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ
ক্যান্ডি টেস্টে আলোর স্বল্পতায় আগেভাগে শেষ হয়েছিল দ্বিতীয় দিনের খেলাও। একই পরিস্থিতির আশঙ্কা জাগে চতুর্থ দিন। চা বিরতির পর পাঁচ ওভারের খেলা হতেই মেঘের আড়ালে সূর্য চলে যায়। তাতে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তখন দিমুথ করুণারত্নে ১৯২ আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। দলের রান ৩ উইকেটে ৪৫৭। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল ২৬৭ রানে, যা এই মাঠে রেকর্ড। আধঘণ্টার কিছুক্ষণ পর আবার মাঠে গড়িয়েছে ম্যাচ।
আলোর স্বল্পতায় সাময়িক বন্ধ ক্যান্ডি টেস্ট
চা বিরতির পর পাঁচ ওভার খেলা শেষ হতেই আলোর স্বল্পতার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ম্যাচ। ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন দিমুথ করুণারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ২০১১ সালে মাইকেল হাসি ও শন মার্শের ২৫৮ রানের রেকর্ড জুটি ভেঙেছেন তারা। চতুর্থ উইকেটে তাদের অপরাজিত জুটি ২৬৭ রানের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।