পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সকল শপিংমল ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। গতকাল শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন আগামী ২৮ এপ্রিলের পরে আর কঠোর লকডাউন থাকছে না। তবে নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নিশ্চিত করা হবে।
হঠাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে সারা দেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। গত ১৪ই এপ্রিল থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দেয়া হয়। এতে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু না কমায় লকডাউনের মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। দ্বিতীয় দফায় গত ২১ এপ্রিল শুরু হওয়া লকডাউন শেষ হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করতে হবে।
গতকাল বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, চলমান ‘লকডাউন’ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনায় রেখে দোকানপাট ও শপিংমলে খুলে দেয়া হচ্ছে। কেউ যেন মাস্ক ছাড়া কেনাকাটা না করে সে বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও গণপরিবহন কবে চলবে কি এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৮ এপ্রিল থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরেই আমাদের চলতে হবে। কেউ যেন মাস্ক ছাড়া না বের হয়। সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবাই যেন মাস্ক পরে। নো মাস্ক নো সার্ভিস- এ বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে চলমান বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হতে পারে। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস নিশ্চিত করা হবে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে অফিস-আদালত, গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেয়া হয়।
গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ২২ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানায়। দোকানপাট শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়ার পর পরিবহন মালিকরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালুর দাবি জানিয়েছে। ২৮ এপ্রিলের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকেও আভাস পাওয়া গেছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, গণপরিবহন চালু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে। যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনে উঠবেন এবং যাত্রার সময়েও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এভাবে চললে সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।