পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত রোজাদারদের জন্য জান্নাত নির্ধারিত করে রেখেছেন এবং জান্নাতে তিনি এই প্রিয় বান্দাহদেরকে সালাম সম্ভাষণ জ্ঞাপন করার জন্য মাঝেমধ্যে তাসরিফ আনয়ন করবেন। তখন জান্নাতিরা আল্লাহপাকের দিদার লাভে ধন্য হবেন এবং শ্রেষ্ঠতম আনন্দ উপভোগ করবেন। এতদপ্রসঙ্গে সাইয়্যেদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে কুদসিতে সুস্পষ্ট বিবরণ প্রদান করেছেন।
হজরত যাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতের অধিবাসীরা তাদের নাজ ও নেয়ামত রাজি উপভোগে নিমগ্ন থাকবে। হঠাৎ করে তখন ওপর দিক থেকে তাদের প্রতি এক নূর বিকশিত হবে। মস্তক উত্তোলন করে তাকাতেই তারা দেখতে পাবে, ওপর দিক হতে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাসরিফ আনয়ন করেছেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা বলবেন : ‘আস সালামু আলাইকুম’ হে জান্নাতের অধিবাসিরা! রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন : এই সালাম সম্ভাষণই হচ্ছে- কোরআনুল কারিমের নিম্নোক্ত বাণীর মূল তাৎপর্য- ‘সালামুন কাওলাম মির রাব্বির রাহিম’ অর্থাৎ দয়াময় প্রতি পালাকের পক্ষ হতে তাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন : অতঃপর আল্লাহপাক তাদের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করবেন এবং তারাও আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। যতক্ষণ তারা আল্লাহপাকের দিকে তাকিয়ে থাকবেন, ততক্ষণ অন্য কোনো নেয়ামতের দিকে তাদের দৃষ্টি থাকবে না। অতঃপর আল্লাহপাকও তাদের মধ্যে অন্তরাল বা পর্দা সৃষ্টি করে দেয়া হবে। কিন্তু জান্নাতিদের ওপর এবং তাদের বসবাসের স্থানের ওপর আল্লাহপাকের নূর ও বরকত চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। (সহিহ মুসলিম, জামেয়ে তিরমিজি, সুনানে নাসাঈ ও সুনানে ইবনে মাজাহ)।
মহান রাব্বুল আলামিন সকল শ্রেণির রোজাদারদের জন্য এই নূর ও বরকত বরাদ্দ করুন। এটাই আজকের একান্ত কামনা। আমীন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।