পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
লকডাউনের মধ্যেও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। এখনো পর্যন্ত লকডাইনের মধ্যে ছয় কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর প্রতিটি কার্যদিবসেই সূচক আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। শেয়ারবাজারে এমন টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়ায় বিনিয়োগকারীরাও বেশ খুশি। এ জন্য তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রশংসা করেন। তারা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিএসইসি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। যে কারণে লেনদেনের গতি বেড়েছে।
গতকাল লেনদেনের শুরুতে সূচকের কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। একই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। তবে লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় চিত্র। দিনের লেনদেন শেষে সবকটি মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধের ছয় কার্যদিবসে ডিএসই প্রধান সূচক বাড়ল ১৭৪ পয়েন্ট। প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। এই সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৩৫টির। ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনেদেন বেড়েছে ১০৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
রহিম শেখ নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, বাজার এখন ভালো আছে। শেয়ারবাজার ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকি। এখন দেখা যাক বাজার কতদিন ভালো থাকে।
ডিএসইর এক সদস্য বলেন, সূচক যেমন টানা বাড়ছে, তেমনি লেনদেনও বেশ ভালো হচ্ছে। মাত্র আড়াই ঘণ্টাতেই ৭শ’-৮শ’ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে বাজারে বড় পার্টি ঢুকেছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করছে। এটা ভালো।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিএসইসি শেয়ারবাজারে লেনদেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি সামনে বাজার আরও ভালো হবে। তবে বাজার থেকে কেউ যেন অনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে সেদিকে বিএসইসির নজর রাখতে হবে। কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৫টির এবং ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।