Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

অষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩২ এএম

দেশে করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরণের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতি বছর এই সময়ে অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারীতে অষ্টমীর স্নানে দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক পুণ্যার্থী অংশ নেয়। ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারজুড়ে ব্রহ্মপুত্র চরে বসে অষ্টমীর মেলা। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে চলা লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন থেকে অষ্টমীর স্নান ও মেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাত থেকে চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এবারের পুণ্যস্নানের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের পুটিমারী এলাকা নির্ধারিত থাকলেও নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান করে পুণ্যার্থীরা।

স্নান উৎসবে যোগ দেওয়া পুণ্যার্থীরা জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজকের এই দিনে পুণ্যস্নান করলে পূর্ণতা লাভ করা যায়। তাই আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে স্নান করতে এসেছি।

মেলার আয়োজনকারীরা জানান, করোনা আতঙ্ক আর প্রশাসনের নিষেজ্ঞা না থাকলে এবার প্রায় ৫ লাখেরও বেশি হিন্দু ধর্মের পুণ্যার্থীরা যোগ দিত স্নান উৎসবে।

চিলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমাদের টহল টিম কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সামনে পড়ছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যেখানে বেশি মানুষ সমাবেত হচ্ছে আমরা খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ জানান, করোনা মহামারির কারণে এ বছর চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নানের ওপর নিষেজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিছিন্নভাবে নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশকে কঠোর অবস্থানে থাকার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • বিষ্ণু পদ দে ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:২৭ এএম says : 0
    বিশ্বাসে মিলায় হরি তর্কে বহুদূর। এজন্য মানুষের সমাগম হয়ত ঠিক। কিন্তু দেশের আইন বলে তো কথা, সেটা না মানলে দেশে থাকা কঠিন হবে। ধর্মের জন্য মানুষ না মানুষের জন্য ধর্ম। যারা অসময়ে মরতে চায় তাদের কাছে পরকাল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাস্তববাদী চাক্ষুষ ঘটনাকে প্রাধান্য দেয়। এজন্য আজকোর দিনে তারা বাঁচে বেশি। মনে রাখতে হবে জান বাঁচানো ফরজ। সুতরাং আমাদেরকে নিরাপদে থাকতে হবে। বেঁচে থাকলে পূর্ণস্নান আরো করা যাবে। স্নান করতে জানলে পরিত্র হয়ে ঘরেও করা য়ায়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ