বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কঠোর লকডাউনে শুরুতে যেমন চেকিং দেখা গিয়েছিল সেটি এবার অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে চলছে। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের তৎপর থাকতে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি ক্রমেই ঝিমিয়ে আসে। যার ফলে একসময় পুরো ফাঁকা হয়ে পড়ে চেকপোস্টগুলো। শুধু তাই নয়, লকডাউনের শুরুর দিকে নগরীর সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও এখন বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই দেখা যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ রোধে সারা দেশে দুই দফায় ১৪ দিন লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে লকডাউনের প্রথম দিকে যান চলাচলে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও তা ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে পড়েছে। খোলা রয়েছে কলকারখানাসহ বেসরকারি অফিস। সড়কে বাস ছাড়া সবধরনের পরিবহন চলছে। শুধু প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের কয়েকটি চেক পোস্ট থাকলেও অলিগলিতে তার কোনও প্রভাব নেই। নাগরিকদের জীবন চলছে অনেকটাই স্বাভাবিক।
রাজধানীর কাওরান বাজার, বাংলামোটর, নাজিরাবাজার, কলাবাগান, ধানমন্ডি, পান্থপথ, সাইন্স ল্যাব, শ্যাওড়াপাড়া, মতিঝিল, মালিবাগ, নিউ মাকের্ট, শ্যামলী, মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলের পরিমাণ অনেক বেশি। সঙ্গে অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে। কিন্তু পুলিশ চেকপোস্টগুলোতে কড়াকড়ি কমেছে অনেকখানি। তাছাড়া ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের কোণায় এবং মানিক মিয়া এভিনিউতে চেকপোস্টের কার্যক্রম দেখা গেছে। ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে ট্রাফিক বক্সের কোণায় চলমান বিধিনিষেধের প্রথম ৫ দিন যথেষ্ট চেকিং দেখা গেলেও বর্তমানে তা নীরব। একই চিত্র দেখা গেছে পান্থপথ সিগন্যাল, মিরপুর এবং কাওরান বাজার সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, চেকপোস্টের কার্যক্রম আগের মতোই আছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, চেকপোস্টে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কিছুটা শিথিল আছে। সরকারের বিধিনিষেধ সত্তে¡ও মানুষ অপ্রয়োজনেও বাইরে যাচ্ছে। তাদের কাছে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কিংবা মুভমেন্ট পাস দেখাতে বললেও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি সোহেল রানা বলেন, জনগণকে সচেতন করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ ছাড়াও থানা পুলিশ নিজস্বভাবে তাদের চেকপোস্ট পরিচালনা করছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, এই থানাধীন আগারগাঁও-সহ বেশ কিছু জায়গায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়েছে। যারা অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলা দেয়া হয়েছে। আগারগাঁও ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, গতকাল সকালে পুরান ঢাকার লালবাগ, নাজিরাবাজার মোড়, সিক্কাটুলী লেনসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওইসব এলাকার বাসিন্দারা কোনো বাধা ছাড়াই বাসা থেকে বের হয়ে অযথা ঘুরাফেরা করছেন। নেই কোনো পুলিশি তৎপরতা। এছাড়াও ওইসব এলাকায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকারসহ গাড়ি চলাচল করছে। খোলা রয়েছে দোকানপাটগুলোও। তবে বংশাল থানার ওসি শাহিন ফকির বলেন, লকডাউন ঘোষণার পর থেকে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চেকপোস্ট ছাড়াও মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।