বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ৮টার দিকে নিহতের শ্বশুরবাড়ি উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের দক্ষিণ পেকুয়া গ্রামের জোড়ান মার্কেট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার আগের দিন বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যায় সাদিয়া।নিহত পেকুয়া গ্রামের মো. ওয়াজেদ মিয়ার স্ত্রী ও একই উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার সেতু (২২)।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত আড়াই বছর পূর্বে পেকুয়া গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে (দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী) ওয়াজেদ মিয়ার সাথে সাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ মাস পরই সে প্রবাসে চলে যায়। তারপর থেকে সাদিয়া শ্বশুর বাড়িতেই থাকতো। কিছুদিন পর থেকেই সাদিয়ার উপর পাশবিক নির্যাতন শুরু করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে ওয়াজেদের বড় বোনের স্বামী জুয়েল মিয়া তাকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। পরে বিষয়টি তার স্বামীকে জানানো হলে সে জুয়েলকে এড়িয়ে চলতে বলে। পরবর্তীতে সে ধৈর্য ধরতে না পেরে পুরো বিষয়টি তার বাবা ও মামা মিনহাজ মিয়াকে জানান। তারা সাদিয়ার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বিষয়টি নিয়ে দুইবার পারিবারিকভাবেও বসেছে। পারিবারিকভাবে বসা হলেও সেখানে জানানো হয় জুয়েল সাদিয়ার সাথে হাসিঠাট্টা করেছে মাত্র!
নিহতের বাবা সেলিম মিয়া জানান, আমার মেয়ে আমার সাথে সব শেয়ার করতো। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দাবি করা দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো, না খাইয়ে রাখতো। আমার মেয়ের ননাসের স্বামী জুয়েল ওকে প্রতিনিয়তই কুপ্রস্তাব দিতো। আমার ধারণা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।