রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মো আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে
ত্যাগের মহিমায় মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটগুলোতে পশুর হাট জমে উঠলেও জমেনি বিকিকিনির পর্ব। ঈদের মাত্র হাতেগোনা ক,দিন বাকি, তারপরেও ক্রেতাদের হাটে হাটে গরু-ছাগল দেখা দাম মিলে গেলে কেনা, নইলে পরের হাটের অপেক্ষায় বাড়ি ফিরে যাওয়া। একইভাবে সঠিক মূল্য না উঠায় বিক্রেতারাও পশু নিয়ে ঘুরছেন বিভিন্ন হাটে হাটে। ঈদুল-আযহার আর কয়েকদিন বাকি, তাই ফুলবাড়ীর গরু-ছাগলের নতুন ও পুরাতন হাটগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে। হাটে পশু আমদানির পাশাপাশি ক্রেতাদের সমাগম ঘটেছে বেশ চোখে পড়ার মতো। এবারে দেশীয় খামারিদের গরুই সংখ্যাই বেশি দেখা যাচ্ছে হাট-বাজাগুলোতে। বাইরের গরু না আসায় বিক্রেতারাও বেশ জোরো-সোরেই চড়া দাম হাঁকছেন। ক্রেতার বাজেট ও বিক্রেতার দাম মিলছে না অনেক ক্ষেত্রে। কেউ কেউ বাজেটের তোয়াক্কা না করে পছন্দ হলে কিনে ফেলছে কোরবানির পশু। বেশির ভাগ ক্রেতাই তাদের সাধ ও সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের গরু-ছাগল কেনার জন্য বিভিন্ন হাটে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এদিকে এই উপজেলার বড় পশুর হাটগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট ছোট হাটেও কোরবানির পশুর জমজমাট হাট বসছে। কিন্তু গত কয়েক বছরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভারত থেকে গরুর আমদানি না থাকায়, দেশীয় খামারিদের গরুর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়ায়, বিক্রেতারাও চড়া দাম হাঁকছেন। ফলে অনেক ক্রেতাই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। ফুলবাড়ীর পশুর হাটগুলো ঘুরে দেখা যায়, আমদানিকৃত গরু না থাকলেও দেশীয় অসংখ্য গরু উঠেছে হাটগুলোতে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমও চোখে পড়ার মতো। পৌরশহরের পশুর হাট গরু, ছাগল ও অন্যান্য পশুতে ভরপুর। তবে দেশীয় গরুর আমদানি প্রচুর হলেও দাম বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত শ্রেণি-পেশার লোকজনকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। মাদিলাহাট বাজারের ইজারাদার এর পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলম জানালেন শেষ মুহূর্তের কোরবানির হাট জমে উঠেছে, তবে দাম একটু বেশি হওয়ার কারণে ক্রেতারা কম কিনছেন। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজাকরণে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে না দেশিয় খামারিরা। অধিক মুনাফার আশায় একটি মহল গরুকে ডেক্সামেথাসোন ও ডেক্সোভেট জাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ ব্যবসা করে থাকেন। এসব ওষুধ প্রয়োগের ফলে গরুর পাশাপাশি ঐ গরুর মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের এরকম মতামতের কারণে ক্রেতারা এসব গরু কম কিনছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।