গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চলমান লকডাউনের ৫ম দিনে এক নারী চিকিৎসক ও পুলিশের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফেন্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ওই বাকবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক।
ভিডিওতে দেখা যায়, এলিফ্যান্ট রোডে পুলিশ চেকপোস্টে এক নারী চিকিৎসক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় উত্তেজিত হয়ে উঠেন ওই নারী। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক পরিচয় দেন তিনি। তবে পুলিশ বারবার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলেও তিনি তা দেখাননি।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই নারী নিজেকে শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে সাইদা শওকত বলে পরিচয় দেন। 'ডাক্তার বড় না পুলিশ বড়'- সেই প্রশ্ন তুলে তা দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন ওই নারী চিকিৎসক। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের তিনি গালিগালাজ করতে থাকেন। হুমকি দেন চাকরি হারানোর।
৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আরও দেখা যায়, পুলিশকে উদ্দেশ করে ওই নারী বলেন, 'করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’
ফেসবুকে এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। শাম্মি আক্তার স্বর্ণা লিখেছেন, ‘‘এদেশে কোনদিনই সঠিক কাজে সঠিক মূল্যায়ন হয় নাই এবং কি সম্মানটুকু দিতে জানেনা। ডাক্তার-নার্স যে প্রতিটা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে দিনে দিনে এই দিকে কারো কোন খেয়ালই নেই। একটা মহিলাকে পথের মধ্যে এমন হারেজমেন্ট করলে তার অবস্থাটা এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।অথচ আমরা কত গর্বের সহিত বলি যে আমরা ফ্রন্টলাইনে যোদ্ধা আমাদের মূল্যায়নটা আজ কোথায়।ডাক্তার তো হাওয়া খেতে বের হয় নি গায়ে এপ্যোন তার মানে এটাই যে সে নিশ্চয়ই তার ডিউটিতে গিয়েছিল অথবা ডিউটি থেকে আসছে এর মধ্যে তো এতটা হ্যারেজমেন্ট কোন প্রয়োজনই নাই। যেখানে মানুষ প্রয়োজন ছাড়াই ঘোরাফেরা করছে।’’
সালমা মাহবুবা লিখেছেন, ‘‘উনি এপ্রোন পরা, গাড়িতে স্টিকার দেয়া, নিজের পরিচয় দিলেন। এরপরও ডাক্তার কিনা সন্দেহ হয়ে থাকলে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই সমাধান হয়ে যেত যদি সত্যিই সমাধানের ইচ্ছে থেকে থাকত। মানুষ আইডি কার্ড ভুল করে রেখে আসতেই পারে।’’
আলাউদ্দিন আদর লিখেছেন, ‘‘যদিও দুইপক্ষেরই বাড়াবাড়ি আছে।কে বেশি বাড়াবাড়ি করছে তা দেখা উচিত। মানুষ মাত্রই ভুল।ভুল করে আইডি কার্ড বাসায় রেখে আসতেই পারে।সব সময় আইডি কার্ড সাথে রাখা সম্ভব হয় না।উনার গায়ে ডাক্তারের এপ্রোন আছে।উনি BSMMU'র একজন সহযোগী অধ্যাপক। দেশ ডিজিটাল হয়েছে, তিনি ডাক্তার কিনা যাচাই করা কঠিন নয়।১ মিনিটে পুলিশ যাচাই করতে পারতো।’’
সবার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাজেদ হক লিখেছেন, ‘‘যেহেতু দুজনেরই বাবা মুক্তিযোদ্ধা। তাই আগে তাদের বাবাদের সার্টিফিকেট পরীক্ষা করে, মুক্তিযুদ্ধে কার অবদান বেশি তা নির্ণয় করে এই সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।