নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় নারী দলের ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার, মণিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও নিলুফা ইয়াসমিন নীলা। হালকা উপসর্গ থাকলেও তাঁদের কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। বর্তমানে ফুটবল ফেডারেশনের আবাসিক ক্যাম্পে চিকিৎসাধীন আছেন তারা। চারজনকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
করোনার কারণে মেয়েদের লিগ স্থগিত করা হয়েছে ৫ এপ্রিল। এই ফুটবলারদের সবাই এবার খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে। দেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা দেওয়ায় বসুন্ধরা কিংস তাদের ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে। এবারের মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসে খেলছেন জাতীয় দলের ২১ ফুটবলার। বসুন্ধরা কিংস ক্যাম্প বন্ধ করায় এই মেয়েদের সবাইকে বাফুফে ভবনে আনা হয়। রুটিন মাফিক তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সেই পরীক্ষা থেকেই কৃষ্ণাদের করোনা ধরা পড়ে।
জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা মেয়েদের বাফুফের ক্যাম্পে আনার পরপরই কোভিড টেস্ট করিয়েছি। করোনায় আক্রান্ত কৃষ্ণা, নীলা, মণিকা আর ঋতুকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। যদিও সবাই ভালোই আছে। নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছে। ওদের আরেক দফা টেস্ট করানোর প্রক্রিয়া চলছে আমাদের।’
সারা বছরই জাতীয় দলের মেয়েদের বাফুফে ভবনের চারতলায় আবাসিক ক্যাম্পে রাখা হয়। শুধু লিগের কারণেই এই মেয়েরা মাঝে মধ্যে ক্লাব ক্যাম্পে ওঠে। যেহেতু বর্তমানে লিগ বন্ধ, এবার আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য মেয়েদের প্রস্তুতি নিতে চায় বাফুফে।
যদিও আপাতত বাংলাদেশের মেয়েদের জাতীয় দলের কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট নেই। সর্বশেষ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল ২০১৯ সালের মার্চে, নেপালে সাফ ফুটবলে। সাফের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হারে ৪-০ গোলে। এরপর ১৮ মাস আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে না খেলায় ফিফা র্যাঙ্কিং থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাদ পড়া বাংলাদেশ দল নতুন করে ওই তালিকায় ঢোকার জন্য আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নেপালে তিন জাতি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চেয়েছে। যদিও গত ১৬ এপ্রিল ফিফা নতুন নিয়ম ঘোষণা করায় আবারও মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের মেয়েদের ফিফা র্যাঙ্কিং ১৩৭। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রতিবেশী ভারত আছে সবার ওপরে। তাদের অবস্থান ৫৭তম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।