নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেল গোল উৎসব। মাত্র ১২ মিনিটের ঝড়ে স্রেফ উড়িয়ে দিল প্রতিপক্ষকে। জালে বল পাঠাল চারবার। ১২ মিনিটের মধ্যে প্রতিপক্ষের অ্যাথলেতিক বিলবাওকে উড়িয়ে কোপা দেল রের শিরোপা জিতল প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার ফাইনালে ৪-০ গোলে জিতেছে রোনাল্ড কুমানের দল। জোড়া গোল করেন লিওনেল মেসি, একটি করে অঁতোয়ান গ্রিজমান ও ফ্রেংকি ডি ইয়ং। কুমানের কোচিং এটিই কাতালান দলটির প্রথম শিরোপা।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ডি-বক্সে ধরে ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে ব্যাকপাস করেন মেসি। কিন্তু ডাচ এই মিডফিল্ডারের কোনাকুনি শট বাধা পায় পোস্টে। পাঁচ মিনিট পর অধিনায়কের রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়েও শট না নিয়ে ব্যাকপাস করেন গ্রিজমান। প্রথম ২৫ মিনিটে ৮৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ছয়টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার একটি লক্ষ্যে। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করে তারা, কিন্তু ছিল না শুরুর ধার। পরের ২০ মিনিটে আর কোনো শটই নিতে পারেনি তারা! বিরতির আগে অধিকাংশ সময় রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত বিলবাও দুয়েকবার পাল্টা আক্রমণে কখনোই তেমন সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গ্রিজমান। মেসির দারুণ পাস ডি-বক্সে পেয়ে গোলমুখে বাড়ান সের্জিনো দেস্ত। ছুটে যান গ্রিজমান, সামনে একমাত্র বাধা গোলরক্ষক। তবে ফরাসি ফরোয়ার্ডের স্লাইড পা দিয়ে রুখে দেন উনাই সিমোন। খানিক পর আরও দুটি দারুণ সেভ করেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ৫২তম মিনিটে পেদ্রির নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর কাছ থেকে সের্হিও বুসকেতসের শট পা দিয়ে ঠেকান সিমোন।
চাপ ধরে রাখার ফল ৬০তম মিনিট পায় বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে ডি ইয়ংয়ের দারুণ ক্রসে ছয় গজ দূর থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন গত সপ্তাহের ক্লাসিকোয় শুরুর একাদশে সুযোগ না পাওয়া গ্রিজমান। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা বিলবাও সামলে উঠবে কী, পরের ১২ মিনিটের মধ্যে আরও তিন গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। ৬৩তম মিনিটে জর্দি আলবার ক্রসে ছয় গজ দূর থেকে নিচু হয়ে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি ইয়ং। পরের দুই গোল সময়ের সেরা ফুটবলার মেসির।
৬৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ছোটার পথে সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে নিজের প্রথম গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা। চার মিনিট পর আলবার বাঁ দিক থেকে বাড়ানো পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।