পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল কোরআনে ‘রামাজানা’ শব্দটি মাত্র একবার এসেছে। (২নং সুরা বাকারাহ-এর ১৮৫নং আয়াতে) হাদিস শরিফে ‘রামাজান’ শব্দের বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আববি রামাজান শব্দটির শব্দমূল হলো ‘রমজ’। এর অর্থ জ্বলন, দহন, দগ্ধ হওয়া। রোজা রাখার কারণে তীব্র ক্ষুধা-পিপাসার তাড়নায় রোজাদারের উদর জ্বলতে থাকে। এই অবস্থায় কথা বুঝানোর জন্য আরবি ভাষায় বলা হয়- ‘রোজাদার বিদগ্ধ হয়’, তীব্র দহন জ্বালায় নিপতিত হয়। উত্তাপের তীব্রতা বুঝাতে আবরিতে রামাজাউ শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। হাদিস শরিফে উক্ত হয়েছে : সূর্যোদয়ের পর সূর্যতাপে যখন প্রাচীর জ্বলে উঠে, উত্তপ্ত হয়, তখন সুন্নাত নামাজ আউয়্যাবীন পড়ার সময়। (সহিহ মুসলিম)। আর এভাবে সূর্যতাপ সূর্যতাপের তীব্রতা গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার মত জ্বলন সৃষ্টি করে। ক্রমে সূর্যতাপের তীব্রতা বাড়তেই থাকে, তীব্র হতে তীব্রতর হয়ে উঠে। এতে বুঝা যায় যে, রামাজান মাসটি তীব্র জ্বলন ও দহনের সম্মিলিত রূপ। এতে করেই রোজাদারের অতীতের সমস্ত গোনাহ জ্বলে, পুড়ে, ছাই হয়ে যায়।
ইসলামি আবরি মাসের নাম নির্ধারণ কালে যে, সময়টিতে সূর্যতাপ সুতীব্র হওয়ার দরুন দহন ও জ্বলনের মাত্রা বেশি হয়েছিল। সে সময়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘রামাজান’। তৎকালিন সময়ের তাপমাত্রার তীব্রতার কারণেই এই নামকরণ করা হয়েছে।
বস্তুত: মাহে রমজানে মুমিন মুসলমানগণ নিজ নিজ সাধ্যানুসারে অধিকহারে নেক আমল করে থাকে। নেক আমলের আধিক্যতার কারণে পূর্ববর্তী যাবতীয় গোনাহ খাতা জ্বলে-পুড়ে ভস্মীভ‚ত হয়ে যায় এবং জীবনের সকল অঙ্গনে নেকী ও পুণ্যের জোয়ার ধারা বইতে থাকে। আবার কোনো কোনো বিজ্ঞজন বলেছেন যে, এই মাসে ঈমানদার বান্দাহদের অন্তরে পুণ্য লাভের আকাক্সক্ষা এতই তীব্রতার হয়ে উঠে- যেমন প্রখর সূর্যতাপে প্রস্তরসমূহ ও বালুকা রাশি উত্তপ্ত হয়ে থাকে। একারণেই এর নামকরণ করা হয়েছে ‘রামাজান’। অনন্তর কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, আরবের লোকেরা রমজান মাসে তাদের অস্ত্রসস্ত্র শাণিত ও তীক্ষèধার করে নিত। যেন শাওয়াল মাসের প্রারম্ভেই যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে। কেন না, যেসব মাসে য্দ্ধু করা হারাম, সেগুলোর পূর্ববর্তী মাস হলো শাওয়াল। আর এ মাসটিই রমজান মাসের পরবর্তী আকাক্সক্ষা আরবদের উদ্বেলিত করে তুলত।
হাদিস শরিফে এসেছে পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসকে মুবারাকুন অর্থাৎ বরকতময় বলে অভিহিত করেছেন। আমাদের জীবনে এই মাসটি বরকতের পশরা বিলাতে থাকুক। এ কামনাই আজ করছি। আমীন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।