Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪ দিন পর মামলা : গ্রেফতার হয়নি

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : রিক্সাভ্যানে বসাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের খামার বাড়ি মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্র রাতুল (১২)কে বটি দিয়ে কুপিয়ে কান কেটে দিয়েছে একই বাড়ির সেকেন হাওলাদারের ঘর জামাই সিরাজ বাহাদুর। গুরুতর অবস্থায় তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ৮টি সেলাই দিয়ে রাতুলের কান জোড়া লাগিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আর্থিক দৈন্যতার কারণে রাতুলকে ফরিদপুর নিতে পারেনি তার পরিবার। সে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতাল বেডে ছটফট করছে। এ ঘটনার ৪ দিন পর পুলিশ মামলা নিলেও আজ পর্যন্ত আসামী ধরতে পারেনি। ঘটনাটি সোমবার সকালে খামারবাড়ি এলাকায় ঘটলেও মাদারীপুর সদর থানায় মামলা হয় বৃহস্পতিবার রাতে। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টার দিকে খামারবাড়ি এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আঃ হালিম হাওলাদারের ছোট ছেলে রাতুল একই বাড়ির উঠানে সিরাজ বাহাদুরের রিক্সাভ্যানে উঠে বসে। রাতুলকে ভ্যান থেকে নামতে বলে সিরাজের ছেলে মোহাম্মদ বাহাদুর। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সিরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে ঘর থেকে বটি এনে রাতুলের মাথা ও কানের মাঝ বরাবর কোপ দেয়। এতে তার বাম কান কেটে ঝুলে যায়। আহত অবস্থায় তাকে এলোপাথাড়িভাবে পিটানো হয়। সাথে সাথে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক ৮টি সেলাই দিয়ে রাতুলের কান জোড়া লাগিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-১৩।
রাতুলের মা ফাহিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে সকালে ভ্যানে বসা ছিল। এ সময় এলাকার কুখ্যাত চোর একই বাড়ির পাশের ঘরের সিরাজ বাহাদুর বটি দিয়ে আমার ছেলে রাতুলকে মাথায় কোপ দেয়। এতে তার বাম কান কেটে ঝুলে পড়ে। সে এখন হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় রয়েছে। ২ দিন কিছুক্ষণ পর পর বমি করেছে। কানে ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে। আমার স্বামী বিদেশে থাকে তাই আমার পাশে কেউ নাই। আমি এর সঠিক বিচার চাই। মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল মোর্শেদ ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। মামলার বাদীরা দেরী করায় মামলা নিতে দেরী হয়েছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৪ দিন পর মামলা : গ্রেফতার হয়নি

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ