পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুঠোফোন গ্রাহকের অজান্তে অপ্রয়োজনীয় সেবা চালু করে টাকা নেয়া হচ্ছে টাকা। টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) সেবা দেওয়া একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়তই গ্রাহকের কাছ থেকে নানা অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনই কিছু প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে অনিয়মের তথ্য পেয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন কমিশন। মুঠোফোন অপারেটরের গ্রাহকদের সমসাময়িক নিউজ অ্যালার্ট, ওয়েলকাম টিউন, গান, ওয়ালপেপার, ভিডিও, বিভিন্ন তথ্য (কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ক), লাইফস্টাইল, মুঠোফোনের গেম, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ইত্যাদি সেবা টিভ্যাস হিসেবে পরিচিত।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে ২০১০ সালের দিকে স্বল্প পরিসরে টিভ্যাস সেবা প্রদান শুরু হয়। কিন্তু ২০১৮ সাল নাগাদ এর ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিটিআরসি হতে টিভ্যাস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয় এবং সে সময় হতে টিভ্যাস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান শুরু করা হয়। বর্তমানে বিটিআরসির অনুমোদিত টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ১৮২ টি। টিভ্যাস প্রোভাইডারগণ চারটি মুঠোফোন অপারেটরের সাথে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে মুঠোফোন গ্রাহকদের শর্টকোড, এসএমএস, আইভিআর, ওয়াপ,মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিভ্যাস সেবা দিয়ে থাকে। সেবার বিনিময়ে গ্রাহকদের নিকট থেকে প্রাপ্য অর্থের একটা অংশ সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক মুঠোফোন অপারেটরগণ পেয়ে থাকে। এছাড়াও টিভ্যাস প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অর্জিত রাজস্বের মোট ৬.৫ শতাংশ বিটিআরসি/সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কমিশন জানায়, সম্প্রতি টিভ্যাস সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাহক পর্যায়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে- গ্রাহকের অজান্তে টিভ্যাস সার্ভিস এক্টিভেট করে টাকা কেটে নেওয়া, অপ্রয়োজনীয় সেবা চালু করে দেয়া ইত্যাদি। বিটিআরসি’র প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ না করাসহ গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় বিটিআরসি টিভ্যাস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন শুরু করে। ইতোমধ্যে ১১ টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু ব্যত্যয় পাওয়া যায়। এসমব অনিয়মের মধ্যে রয়েছে- নিবন্ধিত ঠিকানায় অফিস না থাকা, কমিশন হতে সার্ভিস এবং ট্যারিফ অ্যাপ্রোভাল ব্যতিরেকে টিভ্যাস সেবা প্রদান করা। টিভ্যাস প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মনিটরিং টার্মিনাল/অনলাইন মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকা, ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং অ্যাগ্রিমেন্ট ব্যাতীত সার্ভার স্থাপন করে সেবা প্রদান করা। অডিট রিপোর্ট প্রদান করতে না পারা, টিভ্যাস সার্ভিস এক্টিভেশনের ক্ষেত্রে বিটিআরসি’র নির্দেশনা মোতাবেক ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) বাস্তবায়ন না করা।
টিভ্যাস সার্ভিস এক্টিভের ক্ষেত্রে বিটিআরসির নির্দেশনা অমান্য করে গ্রাহকদের সম্মতি ব্যতিরেকে অটো রিনিউয়াল চালু রাখা, টিভ্যাস গাইডলাইন প্রণয়নের পূর্ব থেকে টিভ্যাস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কমিশনের প্রাপ্য রাজস্ব প্রদান না করা, গ্রাহকের অজান্তে টিভ্যাস সার্ভিস এক্টিভেট করে টাকা কেটে নেওয়া।
বিটিআরসি জানায়, ব্যত্যয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কমিশন হতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে উইন মিয়াকি লি., মিয়াকি মিডিয়া লি. ও বিনবিট মোবাইল এন্টারটেইনমেন্ট লি. নামক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। বাকী প্রতিষ্ঠান সমূহের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।