Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যাত্রাবাড়ীতে মানছে না লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গতকাল সকাল থেকে সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, জিয়া স্মরণী, গোবিন্দপুর, দনিয়া, নূরপুর এলাকায় সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, জুমার নামাজের পর থেকে ওই সব এলাকায় প্রকাশ্যে দোকানপাট খোলা হয়। পুলিশকে ম্যানেজ করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।

রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেটকারসহ ছোট ছোট যানবাহনের কারণে ওই এলাকায় কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যে এমন অবস্থা দেখে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আসলে লকডাউন আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। তারা এসব ঘটনায় প্রশাসনের নির্লিপ্ততাকে দায়ী করেন।

স্থানীয়রা জানান, সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হলেও যাত্রাবাড়ী এলাকার চিত্র ছিল ভিন্ন। ওই এলাকায় গতকাল সকাল থেকেই মানুষের জটলা দেখা যায়। রিকশা, গাড়ির ভিড়, মার্কেট দোকানপাট সবই খোলা। এমন পরিস্থিতি দেখে মনে হয় ওই এলাকায় লকডাউনের কোনো প্রভাব পড়েনি।

দনিয়া এলাকার বাসিন্দা মিলন ব্যাপারী বলেন, গতকাল মনে হয়েছে মানুষ প্রাণ খুলে বিনা বাধায় বের হয়েছে। লকডাউন আছে কিনা জানি না। শুনেছি বিভিন্ন স্থানে মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই জনসমাগমের কারণে করোনা ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

কাজলা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, গতকাল প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখিনি। তাই মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের ভূমিকা আরো বাড়াতে হবে।
এদিকে, পুলিশের সহযোগিতায় কদমতলী, জিয়া স্মরণী, গোবিন্দপুর, দনিয়া, নূরপুর এলাকায় দোকানপাট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ওইসব এলাকায় দোকানগুলো থেকে পুলিশ ১০০ টাকা করে চাঁদা নিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে। শনির আখড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা চাঁদা তুলছে। তবে যারা টাকা দেননি তাদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আর যারা যত বেশি টাকা দিয়েছেন তারা বেশি সময় দোকান খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শনির আখড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া কোনো দোকান খোলা ছিল না। বিকাল ৩টা পর্যন্ত ফল ও সবজির দোকান খোলা ছিল। এরপর দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে চাঁদার বিনিময়ে দোকান খোলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, চাঁদা সংগ্রহের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তবে গতকাল সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিনা বাধায় রাস্তায় মানুষ চলাফেরা করছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো খোলা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার চলাচল করছে। সিএনজি অটোরিকশাগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এমন অবস্থায় পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লকডাউন

৭ এপ্রিল, ২০২২
১৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ