Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফের উত্তেজনা, তিনটি বাস ভাঙচুর

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ৩:২১ পিএম

কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বাস স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় তারা তিনটি বাস ও একটি অফিস ভাঙচুর করে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসব ঘটনায় উপজেলায় আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যে কোন মুহুর্তে আবারও বড় ধরনের কোন সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয় লোকজন।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার বাসগুলো বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখে বাস মালিক সমিতি। রাত ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাস স্ট্যান্ডে অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় তারা স্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস, কার্যালয় ভাঙচুর করে।

জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ অভিযোগ করে বলেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমার তিনটি বাস ও অফিসে ভাঙচুর করেছে।

এ বিষয়ে জানতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মোবাইল কল দিলে অপরিচিত একজন রিসিভ করে জানান স্যার বিশ্রামে আছেন। কথা বলতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাজিম উদ্দিন মিকনের নেতৃত্বে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছি বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ভাঙচুর’সহ কোম্পানীগঞ্জের সকল ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দূর্নীতিবাজ এর সংখ্যা কমে যাবে’ বলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এর জের ধরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫জন সমর্থক মির্জা বিরোধী শ্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় ডুকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা উপজেলা গেইটে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয় পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ