মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা মহামারি। মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নজিরবিহীনভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’ লাখ ছাড়িয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৩৯। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৮ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৩ হাজার ৫২৮ জন।
বর্তমানে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৪। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ১৭৩ থেকে ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৭৭ এ পৌঁছতে কয়েকদিন মাত্র সময় লেগেছে। এই প্রথম একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ অতিক্রম করল। যদিও এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৬৪ জন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। গত ৫ এপ্রিল নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩ হাজার ৫৫৪। ১০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন। ১৪ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার সেই সংখ্যাটা পৌঁছয় এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ এ। গতকাল দুই লাখের সীমানা পেরিয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছরের তুলনায় এবারের সংক্রমণের গতি অনেকটাই বেশি। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এবারে আরও ভয়ংকর চিত্র দেখতে চলেছে ভারত।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে দ্রæত গতিতে বাড়ছে মহামারী। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র রাজধানীতে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ২৮২ জন। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর যে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে শিবসেনা সরকারকে। দিল্লিতেও সপ্তাহান্তে কারফিউর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও দিনদিন শঙ্কা বাড়াচ্ছে। বুধবার নবান্ন জানায়, ওই দিন বাংলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৪। মঙ্গলবার রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ৮১৭ জন, মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। মাত্র একদিনে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ হাজার। এই মুহ‚র্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৩২ হাজার ৬২১ জন। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩০ হাজার ১১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৪৫৮ জনের। কমছে রাজ্যের সুস্থতার হারও। এই মুহ‚র্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৩.১৬ শতাংশ।
বর্তমানে দেশি স্ট্রেন বা ডাবল মিউট্যান্ট চিকিৎসকদের মাথাব্যথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন এবং ব্রাজিল স্ট্রেনের হাইব্রিড। জানা গিয়েছে, ওই স্ট্রেন ১৫ রকম কায়দায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এদিকে সার্বিকভাবে প্রায় ৫ হাজার মিউটেশন ঘটিয়েছে করোনা। ফলত পরিস্থিতি যে ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে তা বলাই বাহুল্য। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।