Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

লকডাউনে বন্ধের ভীতি দূর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৫ এএম

নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাজার খোলা রাখা হয়। লকডাউনে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকার ভীতি দূর হওয়ায় দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান ঘটেছে। লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকতে পারে- এই ভীতি কেটে যাওয়ায় সূচক বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরাও।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১ শতাংশ বা ৫১ পয়েন্টের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩১০ পয়েন্টে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে প্রায় ১ দশমিক ২১ শতাংশ বা ১৮৪ পয়েন্টের বেশি। এতে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৫৩৭৯ পয়েন্টে।
ডিএসই পরিচালক ও সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, একটা ভীতি কাজ করছিল যে, বাজার বন্ধ হয়ে যাবে, ওই ভয়টা কেটে গেছে। এ কারণেই সূচক বেড়েছে। ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, বাংলাদেশে পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে, এরকম একটি ভীতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কাজ করছিল। এখন সেটা নেই কেটে গেছে। ভয়ে অনেকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা বের করে ফেলছিলেন, সেটাও বন্ধ। ফলে সূচক এবং লেনদেন বাড়ছে।
এদিন ঢাকার বাজারে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৫৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ৯২টির আর দর বদলায়নি ৪৯টির। চট্টগ্রামের বাজারে (সিএসই) লেনদেন হওয়া ২৯৯ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ৬৪টির আর দর বদলায়নি ২১টির। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার লকডাউন দিলে বাজার বন্ধ থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় গত কিছুদিন ধরেই বাজারে অস্থিরতা চলছিল।
তবে সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হলেও ব্যাংক খোলা থাকায় পুঁজিবাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। গতকাল লেনদেনের শুরুতেই চাঙ্গাভাব দেখা দেয় ঢাকার বাজারে। আধা ঘণ্টা পর সূচক কিছুটা কমে গেলেও এরপর টানা বাড়তে থাকে এবং চাঙ্গাভাবেই লেনদেন শেষ হয়। এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৫৬ কোটি টাকা।
গত বছর দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সেই ছুটিতে টানা ৬৬দিন বন্ধ ছিল দেশের দুই পুঁজিবাজার। এর ফলে অনেকের পুঁজি আটকে যায় ওই সময়। এবারও লকডডাউনের কথা উঠলে বিনিয়োগগারীদের মধ্যে বাজার বন্ধের ভীতি জেঁকে বসেছিল বলে মনে করেন শাকিল রিজভী। তবে বাজার বন্ধ না হওয়ায় ওই ভীতি কেটে গেছে বলে জানান তিনি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলে বাজার আরও ভালো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ডিএসইতে এদিন অন্যান্য সব খাতকে টপকে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। লেনদেন হওয়া ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩৬টিরই দর বেড়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের দাপটে আগের দিনের দরবৃদ্ধির গরিমা হারিয়েছে বীমা খাতের কোম্পানিগুলো। এ খাতের সিংহভাগ শেয়ারে দর এদিন কমেছে। তবে লেনদেনে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বীমা খাত। বাজারের মোট লেনদেনের প্রায় ৩২ শতাংশই হয়েছে বীমা খাতে।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো, বিডি ফাইন্যান্স, রবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও এশিয়া প্যাসিফিক ইন্সুরেন্স। এদিন বাজার খোলা থাকলেও বিনিয়োগকারীরা টেলিফোন ও অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ব্রোকারেজ হাউজ ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদিক বলেন, বিনিয়োগকারীরা হাউজে আসেননি। বাসায় বসে ফোনে লেনদেন করেছেন। ভয় কেটে যাওয়াতে বাজারে লেনদেন বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লকডাউন

৭ এপ্রিল, ২০২২
১৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ