Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খানের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৬ এএম

বাংলা একাডেমির সভাপতি, সাবেক মহাপরিচালক লেখক, গবেষক, ফোকলোরবিদ শামসুজ্জামান খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত বুধবার তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। জানাজা শেষে মানিকগঞ্জে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। ৮ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১১ এপ্রিল তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শামসুজ্জামান খানের স্ত্রীও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান একাধারে ছিলেন লোক সংস্কৃতি ও পল্লীসাহিত্য গবেষক। তার উল্লেখযোগ্য কাজ বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা শিরোনামে ৬৪ খন্ডে ৬৪ জেলার লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রহশালা সম্পাদনা এবং ১১৪ খন্ডে বাংলাদেশের ফোকলোর সংগ্রহমালা সম্পাদনা।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এবং ১৯৬৪ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। একই বছর তিনি জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে ২৪ মে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হন। তার পদের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়, শেষ হয় ২০১৮ সালে। অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শামসুজ্জামান খান একুশে পদক ছাড়াও বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, কালুশাহ পুরস্কার, দীনেশচন্দ্র সেন ফোকলোর পুরস্কার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় গবেষণা পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পান।
উপসচিব মারুফ হাসানের ইন্তেকাল : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল খায়ের মো. মারুফ হাসান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল খায়ের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় মারা যান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিন বলেন, গত ৭ এপ্রিল উপসচিব আবুল খায়ের বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। তিনি বলেন, মারুফ হাসান কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এ মন্ত্রণালয়ে ২০১৭ সালে যোগদান করেছেন।

উপসচিব আবুল খায়েরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন। পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলা একাডেমি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ