বাংলা সন ও নববর্ষ
বাংলাদেশের একটি নিজস্ব সন আছে, যা ‘বাংলা সন’ হিসেবে অভিহিত। এই সনের প্রথম মাস বৈশাখের
আবদুল আউয়াল ঠাকুর
ইতিহাস-ঐতিহ্য মিত অধুনিকতা সবমিলেই তৈরি হয় সংস্কৃতি। মূলত সংস্কৃতির সাথে মানুষের চেতনাবোধের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় শাসকগোষ্ঠী। ইতিহাসের সাক্ষ্য অনুযায়ী যখন দুনিয়াজুড়ে রাজ-রাজাদের শাসন ছিল তখন দেখা যেত আজ এক শাসক আছেতো কাল আরেক রাজা। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় ইলুখড়ের প্রাণ যায়। এই প্রাণ যাওয়ার ব্যাপারটি যে এখনও হচ্ছে না তেমনটা জোর দিয়ে বলা যাবে না। তবে প্রকৃতিতে আলাদা রয়েছে। এখন রাজার শাসন না থাকলেও ক্ষমতার পালাবদল রয়েছে। সংস্কৃতির আলোচনার সাথে মূলত শাসকের পরিবর্তনের সম্পর্ককে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। প্রত্যেক শাসকেরই নিজস্ব রুচিবোধ থাকে বা রয়েছে যা তিনি বা তারা জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। আমাদের দেশে এ কথা যথার্থভাবে বলা যাবে না যে শাসকের পরিবর্তন সংস্কৃতিতে কোন প্রভাব ফেলছে না। কথাগুলো এ কারণে যে নববর্ষ পালন আমাদের সংস্কৃতির অংশ। একটি দিন পালনের বাইরে এর অন্য কোন তাৎপর্য আমরা জাতীয় জীবনে খুঁজে পাই না। তা সত্তে¡ও এদিনটি পালন নিয়েও চলছে নানা প্রবণতা।
ইংরেজি নববর্ষ বলতে যেভাবে একটি জাতির পরিচয়ের সূত্রকে বোঝায় আমাদের সংস্কৃতিতে তেমনটা মনে হবার কোন কারণ নেই। ইংরেজরা ইংরেজি নববর্ষ পালন করে। এর মধ্যদিয়ে তারা তাদের জাতীয় সংস্কৃতিকেই তুলে ধরে বা ধরার চেষ্টা করে। প্রতিবেশী ভারতের জাতীয় ভাষা হিন্দি। আবার সেখানকার জাতীয় সংগীত বাংলায়। ভারতে কোন জাতীয়ভিত্তিক নববর্ষ নেই। সেখানে তারা তাদের ধর্মীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করে মূলত দোল উৎসব পালন করে। এর মধ্যেই তাদের অধিকাংশের নববর্ষ পালিত হয়। বছরের একটি বিশেষ সময়ে তারা এই দিবসটি পালন করে। যেহেতু হিন্দুত্বকে তারা তাদের জাতীয়তাবাদ হিসেবে বিবেনায় নিয়েছে এবং এটি তারা সর্বসম্মতভাবে মেনে নিয়েছে সে কারণে এ ধরনের উৎসব পালনে কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাদের নিয়মানুযায়ী এটি তারা পালন করে। এর ভালমন্দের বিবেচনাও তাদের। সেখানকার মিডিয়াতে যেমনি দেখা যায় তেমনি হয়ত বাস্তবেও ঘটে থাকে। রং নিয়ে খেলতে গিয়ে নানা রংয়ের মাঝে তারা হারিয়ে ফেলে নিজেদের আসল রং। মনুষ্যত্ব। এবার গত কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এই রং খেলাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে তার পুনরুল্লেখ অপ্রাসঙ্গিক। শুধু এটুকু বলা যে অশ্লীলতা ঠেকাতে শেষপর্যন্ত থানা-পুলিশ করতে হয়েছে। সংগত বিবেচনা হচ্ছে এর আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি করছিল? তারাও কি রং দেখছিল। অন্য ধর্মের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনে কোন বাধা নেই তবে অবশ্যই তা করতে হবে তাদের নিজ গÐিতে। অনেকদিন থেকেই দেশের নি¤œবর্ণের হিন্দুরা এই বিশেষ দিনটিতে নেশা করে রং খেলে তবে এটা তাদের গÐিতেই সীমবদ্ধ থাকে। এবারে কীভাবে কেমন করে তা প্রকাশ্যে চলে এলো তার কোন বিবরণ অগে-পরে পাওয়া যায়নি। সংগত বিবেচাতেই উদ্বেগ থেকেই গেছে। বলার কারণ এই যে নববর্ষ হচ্ছে উৎসব-আনন্দের দিন। অথচ যে কোন কারণেই হোক এদিনে নির্মল আনন্দের জায়গাটা অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে পড়েছে। সে বাংলা বা ইংরেজি যে নববর্ষের কথাই বলা হোক দেখায় উন্মত্ততা উন্মাদনায় পেয়ে বসে এক বিশেষ শ্রেণীকে। এরা পয়-পরিচয়ে আমাদের হলেও তাদের কাজকর্মে ঠিক কোন দেশীয় তা বলা কষ্টকর। এ কারণেই নববর্ষ পালনে নিজেদের আত্মায় খুঁজে পাবার বা দিবস পালনের মাধ্যমে খুঁজে নেবার প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
প্রতিটি দেশেই বর্ষবরণের সাথে তাদের নিজস্ব কিছু রীতি প্রথার সমন্বয় থেকে যায়। প্রতিবেশী ভারতে কার্যত কোন নববর্ষ পালিত হয় না। সেখানে একদিকে যেমনি বাংলা ভাষাভাষীরা পহেলা বৈশাখকে পালন করে আবার তেমনি অন্য ভাষাভাষীরা তাদের মতো করে পালন করে থাকে। সেখানে দোল অনুষ্ঠানের মধ্যে নববর্ষ পালনের প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণীয়। হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠান বিধায় একেই অনেকে নববর্ষ মনে করে থাকেন। প্রতিটি নববর্ষের মধ্যেই একটি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সন্ধান মেলে। যেমন যখন আমরা হিজরি সনের কথা বলি তখন আমাদের হৃদয়ে ভেসে ওঠে নির্যাতনের প্রতিবাদের সেই চিত্র যখন সত্য প্রচার করতে গিয়ে আল্লাহ্র রাসূল (সঃ)কে নিজের জন্মভ‚মির মায়া পরিত্যাগ করতে হয়েছিল। যখন ইংরেজি নববর্ষের কথা বিবেচনায় নেয়া হয় তখন তার সাথে উঠে আসে তাদের ভাষায় খ্রিস্টের কথা। আমরা যাকে হযরত ইসা (আঃ) বলে সম্মান প্রদর্শন করি। তবে তার জন্মদিনকে প্রধান বিবেচ্য করে যে সনের চালু করা হয়েছে সেটি আল্লাহ্র নির্দেশ মেনে করা হয়নি। যাই হোক ইংরেজি সন বললে মূলত সেই ইতিহাসই আমাদের সামনে উঠে আসে। তেমনিভাবে আমাদের নববর্ষের সাথেও যুক্ত রয়েছে আমাদের অতীতের। একথাও স্বীকার করতে হবে এখন আমরা যেভাবে আমাদের নববর্ষকে দেখছি এটি শুরু থেকেই এভাবে ছিল না। পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের মধ্য দিয়েই এগুচ্ছে। আমাদের জন্য গর্বের একটু আলাদা বিষয় হচ্ছে, বাংলা আমাদের জাতীয় ভাষা। এই ভাষা প্রতিষ্ঠার লড়ই আর আমাদের নববর্ষের প্রতিষ্ঠার লড়াই মোটামুটি অভিন্ন। ইতিহাস মোটামুটি এরকম যে এর অদি নাম বাংলা নববর্ষ ছিল না। শুরুটা হয়েছে রাজ আনুক‚ল্যেই। মোগল স¤্রাট জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর এই নতুন সন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মূলত কর আদায়ের সুবিধার্থে। এটা বলে রাখা দরকার মোগল শাসন পরিচালিত হোত ইসলামী মতে এবং ইসলামী পঞ্জিকা মোতাবেক। এখানে এ কথাও বলে রাখা দরকার ভারতবর্ষে মোগলদের অনেক আগে থেকেই ইসলামী আইন চালু ছিল। পানিপথের প্রথম যুদ্ধে সুলতান ইব্রাহিম লোদীকে পরাজয়ের মধ্যদিয়ে ভারতে তিনশ বছরের সুলতানী শাসনের অবসান ঘটেছিল। মোগলরাও ক্ষমতায় এসে তুরস্কের সনদ গ্রহণ করেছিল। যার অর্থ হচ্ছে তারাও ইসলামী আইনের বিধান মেনেই রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্মত ছিলেন। স¤্রাট অকবর ক্ষমতাসীন হয়ে কর আদায়ের সাথে ইসলামী পঞ্জিকার সাংঘর্ষিকতা অনুভব করলেন। অবশ্য এ নিয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। সেটি আমাদের আজকের আলোচনার মুখ্য বিষয় নয়। যাই হোক, তিনি কর আদায়ের সুবিধার্থে ইসলামী আইনের সাথে সমন্বয় করে ফসলি সন চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ফসলি সনই পরবর্তীকালে বঙ্গাব্দ বলে পরিচিতি লাভ করে। মূলত দিনটিকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তার ক্ষমতাকে স্থায়িত্ব দেয়ার সাথে। ১৫৫৬ সাল মোতাবেক ৯৬৩ হিজরিতে স¤্রাট অকবর হিমুকে পরাজিত করেণ। হিন্দু রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে হিমু নিজেকে বিক্রমাদিত্য উপাধীতে ভ‚ষিত করে মোগলদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করলে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে তিনি স¤্রাট আকবরের বাহিনীর কাছে শোচনীয় পরাজয় বরন করেন। দিনটি ছিল ৫ নভেম্বর। এই দিনটিকে স্মরণীয় রাখতেই বাংলা সনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সে বিবেচনায় বাংলাসনের ইতিহাসের সাথে যে বিজয় গাঁথা যুক্ত হয়েছে তাকে পালনের সাথে বিবেচনায় না নেয়ার কোন যুক্তিসংগত কারণে নেই। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে আজকে অমরা যেভাবে যে তারিখে দিনটি উৎযাপন করছি আদিতেও কি সেভাবে ছিল। প্রশ্নাতীতভাবে বলা যায় তেমনটি ছিল না। কেন নেই এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। তবে মোটামুটি সহজভাবে বলা যায়, যারা যে প্রয়োজনে চালু করেছিলেন তাদের শাসন থেকে বিদায় হবার পর যারা এসেছে তারা যেসব মৌলিক পরিবর্তন করেছে তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কর ব্যবস্থা। তথাকথিত আধুনিক ও শোষণমূলক কর ব্যবস্থার প্রবর্তনের ফলে সংগত বিবেচনা থেকেই বাংলা নববর্ষের গুরুত্ব লাঘব পায়। এখন অমরা শুনছি বা অনেকেই বলছেন শকাব্দই বঙ্গাব্দ। সেই সূত্র ধরেই নতুন অলোচনা। সে যাই হোক আমরা যে নববর্ষ পালন করছি সেটি আমাদের ভাষার টিকে থাকার সংগ্রামের সাথেই মিলে মিশে রয়েছে। সে কারণেই আমাদের সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নববর্ষের সংস্কৃতিকে মনে করা হয়। এখানে এ কথা বলা দরকার বাংলা নববর্ষ কথাটা আমরা পেয়েছি ইংরেজদের কাছ থেকে। তারা বাৎসরিক ছুটির তালিকায় এ কথাটা লিখত। এর মধ্যে এ প্রশ্নও উঠতে পারে এটি যদি বাংলা নববর্ষ হয় তাহলে আমাদের নববর্ষ কোনটি? থাক সে কথা।
নববর্ষ পালনের সাথে যুক্ত থাকে নানা ধরনের মিথ। আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার পাশাপাশি আঞ্চলিক ভৌগোলিক নানা বোধ-বিশ্বাসের সংমিশ্রণ থেকেই যায় এ ধরনের উৎসব অনুষ্ঠানে। সময়ের পরিবর্তনে এরও পরিবর্তন সাধিত হয়। নববর্ষ উদযাপন একটি আনন্দ বিষয়ক ঘটনা তাই এর পালনের সাথে মানসিক সম্পর্কের ব্যাপার এড়িয়ে যাবার কোন অবকাশ নেই। প্রথানুযায়ী কাল বৈশাখী থাক বা না থাক দেশের মানুষের মনে যে গুমোট কালো মেঘ জমে আছে বা থাকে তাকে বিদূরিত করার মানসিকতা থেকেই পালিত হয় নববর্ষ। সাধারণত যে ধরনের গøানি অপবাদ ঘোচাতে নববর্ষে মানুষ একান্ত চিন্তায় নিবিষ্ট হয় আমাদের দেশের বর্তমান বাস্তবতা তার থেকে আলাদা। গণতন্ত্রের উৎসব ভোটের অধিকার ফেরত পাবার দাবি করার কারণে গোটা দেশে সরকারি বাহিনীর যে তাÐব চলেছে এবং চলছে তাতে মানুষের আনন্দ করতে কার্যত ভুলেই গেছে। নববর্ষের আগে নানা নামে রক্তের যে হলি খেলা হচ্ছে সেটাই যেন সকলের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে রেখেছে। তবু আজ নববর্ষ। কালের অমোঘ নিয়মে পালিত হবে জাতীয় সংস্কৃতির এই দিনটি। বসবে মেলা। জারি-সারি গানে মুখরিত হবে গ্রাম থেকে শহর। বাংলা ভাষাভাষী হওয়া সত্তে¡ও বাংলাদেশে এদিনটি আজ পালিত হলেও ভারতের পশ্চিমবাংলায় হবে একদিন পর। এভাবেই দিবসটি পালনে আলাদা সংস্কৃতির জানান দেয়। দিনটি শুভ হোক অন্তত বিগত বছরের নিপীড়ন নির্যাতন মুক্ত একটি বছরের প্রত্যাশা সকলে মনে। দিনের প্রথম সূর্য যাতে মুক্তির বারতা নিয়ে আসে সেটাই কাম্য।
আমাদের নববর্ষের ভিত্তিতে হিজরি সাল হলেও এর গণনা ধরা হয় সৌরবর্ষ হিসেবে। আবার ইংরেজি সালের মতও নয়। রাত ১২টা নয় বরং সূর্যোদয়ের সময় থেকে দিনের শুরু। সে বিবেচনায় নববর্ষের সংস্কৃতিতেও নানা প্রভাব বিদ্যমান। শুরু থেকেই শুধু বাংলায় নয়, মোগল সাম্রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও এ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছিল। সঙ্গতভাবেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অর্থাৎ বাংলা ভাষা, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রেক্ষিতে নববর্ষের সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায় এবং তা কেমন হওয়া উচিত এ প্রশ্নের সন্তোষজনক সমাধান অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত এটা উল্লেখ করা দরকার যে, ১৯৯৬ সালে ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলা পঞ্জিকার সংস্কার হওয়ায় বাংলাদেশ এখন যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে তার সাথে ভারতের পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন স্থানের সুনির্দিষ্ট পার্থক্য নির্দেশক। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্জিকাকে আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেয়া সত্তে¡ও পুরোহিত ও জ্যোতির্বিদের বিরোধিতার কারণে তা করা যায়নি। এই না হওয়া মধ্য দিয়ে প্রায় অনুরূপ বা কাছাকাছি বাংলা হওয়া সত্তে¡ও দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিগত পার্থক্য রেখাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাতির নানা আলোচনা সময়ে অসময়ে নানামুখে স্থান করে নেয়। আসলে আমরা যে দীর্ঘ লড়াই করে একটি দেশ অর্জন করেছি তার ভিত্তিতে রয়েছে আমাদের বোধ-বিশ্বাস ধর্ম। নববর্ষও এরচেয়ে আলাদা কিছু নয়। আমরা চিন্তাচেতনা, মেধা-মননে বিশ্ব দরবারে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য পরিচয় আলাদা করে তুলে ধরতে পারিনি বিধায় আমাদের নববর্ষের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। যাই হয়ে থাকুক না কেন এটা ভাবার সময় এসে গেছে যে আমরা একটি জাতি যাদের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। সে কারণে নববর্ষ পালনে অন্য সংস্কৃতি থেকে কিছু ধার করার নেই। নির্মল অনন্দ উপভোগের সব উপাদানই আমাদের সমাজে বিদ্যমান। অতীতেও এসব দিনে নির্মল আনন্দ হয়েছে। দিবসটির আনন্দ যাতে প্রকৃতই সকলে ভাগ করে নিতে পারে সে জন্য সকলেরই উদ্যোগী হওয়া জরুরি।
লেখক: সাংবাদিক কলামিষ্ট
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।