মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসের ধরনের কারণে গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি হচ্ছে না বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় এ ধরনে রোগীর খুব বেশি গুরুতর অবস্থা হচ্ছে না । বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে এ-ও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের করোনার ধরন দ্রæত ছড়াতে সক্ষম। এই বিশেষ ধরনটির নাম হলো বি১১৭। বর্তমানে করোনার এই ধরন ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আগের গবেষণাগুলোয় বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের তুলনায় যুক্তরাজ্যের ধরনে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। কিন্তু এবারের দুটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, বি১১৭-এর কারণে খারাপ উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বা সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে অন্যান্য ধরনের তুলনায় বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এবারের দুটি গবেষণাপত্র ‘দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস’ ও ‘দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের করোনার ধরনে কিছুটা বেশি সংক্রামক এবং এর পুনরুৎপাদন হার করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে বেশি। দুটি গবেষণাপত্রের একটিতে ৩৪১ জন করোনা রোগীকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, তাঁদের ৫৮ শতাংশ বি১১৭-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর বাকি ৪২ শতাংশ রোগীর দেহে এই ধরন পাওয়া যায়নি। আবার যাঁরা বি১১৭-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ৩৬ শতাংশের প্রচÐ অসুস্থতা বা মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে যাঁরা বি১১৭-এ আক্রান্ত ছিলেন না, তাঁদের ৩৮ শতাংশের এমন পরিস্থিতি হতে দেখা গেছে। এসব উপাত্ত দিয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়া বা গুরুতর উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের করোনার ধরনের সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে, দ্বিতীয় গবেষণায় মোট ৩৬ হাজার ৯২০ জন ব্রিটিশ নাগরিকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে তারা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, বি১১৭-এর পুনরুৎপাদনের হার করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ১ দশমিক ৩৫ গুণ বেশি। তবে একই সঙ্গে এ ধরনের ক্ষেত্রে রোগের গুরুতর অবস্থা সৃষ্টিরও কোনো প্রমাণ মেলেনি। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।