পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারি সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কড়াকড়ি লকডাউন আজ বুধবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে। লকডাউন চলাকালে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সকল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিদেশ গমনেচ্ছু প্রায় ৭২ হাজার কর্মীর কর্মস্থলে যোগদান অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যতদিন বাংলাদেশের সাথে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করবে ততদিন দেশের স্বার্থে গরীব অসহায় কর্মীদের কথা বিবেচনা করে বিদেশগামী কর্মীদের লকডাউনের আওতার বাইরে রেখে বিদেশ গমন সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে শ্রমবাজার ধরে রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করা হলে বিদেশ গমনেচ্ছু অপেক্ষমাণ অনেক কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এবং সময়মত কর্মস্থলে যেতে না পারলে নিয়োগকর্তা চাহিদাপত্র বাতিল করতে পারে। এতে জনশক্তি রফতানিতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলরুমে বায়রার সদস্যদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার সাবেক অর্থ সচিব মো. ফখরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বারাকাত ভূঁইয়া, বায়রার সাবেক ইসি সদস্য গোলাম মাওলানা রিপন, লীমা বেগম, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান ও মহামসিচব আরিফুর রহমান, মোজাম্মেল হক, হারুন উর রশিদ ও মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ না করে জনশক্তি রফতানি খাতকে জরুরি সেবা খাত হিসেবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের বিদেশ গমনের সুযোগ চালু রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল কল-কারখানা চালু রাখতে পারলে জনশক্তি রফতানির খাতকেও সচল রাখতে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখতে হবে। কাতার এবং ওমানের হাজার হাজার যাত্রী লাখ লাখ টাকা দিয়ে কোয়ারেন্টাইন হোটেল বুকিং করে রেখেছে। যেগুলো নন রিফান্ডেবল এতে তাদের বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে। বর্তমানের সাত দিনে প্রায় ২০ হাজার বিদেশগামী কর্মী বিমানের টিকিট কেটে রেখেছে। ফ্লাইট বন্ধ করা হলে তারা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছুটিতে এসে আটকে পড়া প্রায় লক্ষাধিক প্রবাসী কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তারা দ্বিতীয় বার ভিসা ঠিক করে অনেকেই টিকিট কিনে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছেন। তারাও সময়মত বিদেশে যেতে না পারলে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ কর্মী প্রেরণকারী দেশগুলো লকডাউনের মধ্যেও জরুরি খাত হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মী প্রেরণ অব্যাহত রাখছে। সেখানে কর্মী প্রেরণ বন্ধ করা হলে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় পিছিলে পড়বে। নেতৃবৃন্দ দেশের স্বার্থে এবং গরীব কর্মীদের কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।