পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্কুলে না গিয়ে এক শিক্ষক বেতন নিচ্ছেন দীর্ঘ আট বছর ধরে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের চরকৈজুরি গ্রামে অবস্থিত কৈজুরি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের স্কুল শাখার সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক তদন্তে করেছেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। স্কুলে তদন্ত দল আসলে এলাকায় এ নিয়ে হৈ চৈ পরে যায় ।
জানা গেছে, ওই স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল খালেক ও কৈজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের আপন ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, জাহাঙ্গীর হোসেন ঢাকার মিরপুর-১ শাহ আলী বাগ কলওয়ালপাড়ায় গার্মেন্টস সুতার রং করার কারখানার সাথে যুক্ত থেকে ব্যবসা করছেন। স্কুলের হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কোনদিন স্কুলে ক্লাস নেননি। তবে স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাই কৈজুরী ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। এদিকে কৈজুরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুনার রশিদ জানান, বিষয়টি তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা, শাহজাদপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো: মাসুদ হোসেন ও শাহজাদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাদাৎ হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। অধিক তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আরো তদন্ত করবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরো জানান, প্রতিষ্ঠনটি করোনাকালীন ছুটি থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি। তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের সাথেও কথা বলবেন। এ স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মো. আব্দুল খালেক জানান করোনাকালিন স্কুল বন্ধ থাকায় জাহাঙ্গীর হোসেন মাঝে মধ্যে তিনি ঢাকাতে ভাইয়ের ব্যবসা দেখাশোনা করে থাকেন। স্কুল চলাকালিন সময় জাহাঙ্গীর হোসেন স্কুল ফাঁকি দেন। স্কুলটির সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে কথা হলে, তিনি জানান করোনাকালিন গত বছর থেকে আমাদের স্কুলের পাঠদান বন্ধ থাকায় মাঝে মধ্যে প্রিন্সিপালের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে ঢাকাতে ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়েছে। স্কুল ক্লাস ফাঁকি ব্যবসার করার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।