বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা ইউনিয়নে ২০১৯-২০২০ চক্রের ভিজিডি (ভারনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির ৮৫৩ জন উপকারভোগীর পাঁচ মাসের সঞ্চয় ফেরত না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের কয়েকজন সুবিধাভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ভিজিডি কর্মসূচির দুই হাজার ৯০৫ জন উপকারভোগীর জমাকৃত সঞ্চয় ফেরতে আর কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন রায়েন্দা ইউনিয়নের দায়িত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ, খোন্তাকাটায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার বল, ধানসাগরে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম এবং সাউথখালীতে পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা শিশির কুমার। এই কমিটিকে ১১এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা ইউএনও অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল রায়েন্দা ইউনিয়নের ৩ নম্বর দক্ষিণ রাজাপুর ওয়ার্ডের কয়েকজন ভিজিডি কার্ডধারী চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে তাদের সঞ্চয় ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। এরপর থেকে এ বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
অভিযোগের বিষয়ে রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, ভিজিডি কর্মসূচি শুরুরদিকে ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে বিলম্ব হয়। এ কারণে প্রথম পাঁচ মাস ৯টি ওয়ার্ডের ৮৫৩ জন কার্ডধারীরা সঞ্চয় হিসেবে প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে পরিষদের তহবিলে জমা রাখা হয়।
ভিজিডি কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হলে কার্ডধারীদের জমাকৃত সঞ্চয় ফেরত দেয়ার জন্য পরিষদের সচিবের কাছে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গত (বুধ ও বৃহস্পতিবার) দুটি ওয়ার্ডের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
গ্রামের সহজ-সরল নারীদের কেউ ভুল বুঝিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়েছেন। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, রায়েন্দা ইউনিয়নের ৩ নম্বর দক্ষিণ রাজাপুর ওয়ার্ডে পাঁচ মাসের সঞ্চয় ফেরত না দেয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই চারটি ইউনিয়নের কোথাও এধরণের অসঙ্গতি থাকলে তা যাচাই করার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।