বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেনবাগ উপজেলার বক্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. আবদুল্লাহ (৪২)কে অপহরণের ৮দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার রুপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাকে উদ্ধারের পর গতকাল বিকেলের দিকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয় পিবিআই। সে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের করুণা চৌধুরী বাড়ি প্রকাশ মান্দার বাড়ির মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে। সে একই উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বক্সিরহাট বাজারে ওয়ালটনের ডিলার।
এ বিষয়ে পিবিআই ফেনীর উপ-পরিদর্শক মো. হায়দার আলী আকন্দ বলেন, অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহকে রুপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে এখনো কথা বলতে পারছেনা। বিকেলে তার পরিবারের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেয়া । তার চিকিৎসার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অপহরণকারীরা তাকে অপহরণ করে পনের লাখ টাকা দাবি করে। পরে দশ লাখ টাকা দিতে বলে। অপহরণকারীরা তাকে জানিয়েছিল তারা তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাগনে আশরাফুল বাহার সেনবাগ থেকে ফেনী যাওয়ার পথে অপহরণের অভিযোগ তুলে এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় একটি জিডি (সাধারণডায়েরি) করেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ব্যবসায়ী অপহরণের সংবাদ প্রচার করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীকে ঘটনার ৮ দিনের মাথায় পুলিশ বুরে্যা ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনী তাকে উদ্ধার করে।
অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাগনে আশরাফুল জিডিতে উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দোকান থেকে তার মামা ফেনী যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। পরের দিন সকাল ১০টা ৪ মিনিটের দিকে তার ফোন থেকে মামির ফোনে কল আসে। কিন্তু হ্যালো বলার সাথে সাথে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। অপহরণের পর থেকে আবদুল্লা মামার ব্যবহ্যত দুটি মুঠোফোন বন্ধ ছিল বলে দাবি করে পরিবার। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ ঋণে জর্জরিত হয়ে পরিবারের যোগসাজশে আত্মগোপনে চলে যায়। এ বিষয়ে অপহৃত ব্যবসায়ী আবদুল্লা অসুস্থ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাগনে আশরাফুল একালাবাসীর অভিযোগ নাকচ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।