পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউনের ঘোষণার আগেই আতঙ্কে ধস নামলেও ‘লকডাউন’-এর মধ্যে দেশের শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। গেল তিনদিনেই শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে বাজার এতোটাই ভালো হয়ে উঠেছে যে গত তিনদিনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক প্রায় আড়াইশ’ পয়েন্ট বেড়েছে। আর বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সরকার ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার (৭ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়।
সময়ের সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকা বড় হতে থাকে। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও বাড়তে থাকে। এতে দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৫ পয়েন্টে বেড়ে ৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
আগের দিন মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) এই সূচক বাড়ে ১০৩ পয়েন্ট। আর লকডাউন ঘোষণার প্রথমদিন সোমবার (৫ এপ্রিল) সূচকটি বাড়ে ৮৮ পয়েন্ট। অর্থাৎ লকডাউনের এ তিনদিনে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ২৪৭ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় সূচকটি ২২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। লকডাউনের প্রথম দুইদিনে এই সূচকটি বাড়ে ৮৬ পয়েন্ট। এ হিসাবে তিনদিনে সূচকটি বাড়ল ১০৮ পয়েন্ট।
ডিএসইর অপর সূচক ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত এই সূচকটি কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দুইদিনে বাড়ে ৩৭ পয়েন্ট। এ হিসাবে লকডাউনের তিনদিনে সূচকটি বাড়ল ৪৬ পয়েন্ট।
সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি লকডাউনের তৃতীয় দিনে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। দিনের লেনদেন শেষে ১৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। আর ১০২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বৃদ্ধি এবং সূচকের উল্লম্ফনের পাশাপাশি লেনদেনেও ভালো গতি দেখা দিয়েছে। মাত্র দুই ঘণ্টাতেই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫০৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ছিল ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লকডাউনের তৃতীয় দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।
আগের দুইদিনে বাজার মূলধন বাড়ে ১৭ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ লকডাউনের তিনদিনে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ২১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২১৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪০টির, কমেছে ২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।