রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। এখানকার পশুর হাটগুলোতে স্থানীয় গৃহস্থের দেশি গরু চোখে পড়লেও বিদেশি গরু তেমন চোখে পড়েনি। কোরবানির হাটগুলোতে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হলেও বেচাকেনা ছিল কম। গত মঙ্গলবার উপজেলার মুছা ফকির হাট, জানালী হাট, সোমবাইজ্জ্যা হাটসহ বিভিন্ন স্থানে কোরবানি পশুর হাট বসেছিল। এগুলোর মধ্য থেকে মুছা ফকির হাটে সবচেয়ে বেশি গরু বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। কম সংখ্যক গরু বিক্রি হয়েছে জানালী হাটে। এছাড়াও অন্যান্য হাটগুলোতেও ক্রেতা-বিক্রেতা ছিল কম। উপজেলার মুছা ফকির হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার গরু বিক্রির জন্য বাজারে আনা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই মোটাতাজা করা ও দেশি গরু। ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ঘরে পালন করা গরু বিক্রির জন্য এসেছেন। তার বলেন, ক্রেতা থাকলেও বিক্রি হয় কম। মুছা ফকির হাটে কোরবানির গরু কিনতে আসা আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ইনজেকশন প্রয়োগ করে মোটাতাজা করা গরু দেখতে সুন্দর দেখা গেলেও এসব গরুগুলোর কলিজা পচে যায়। এসব গরুর মাংস শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। তাই তিনি দেখে শুনে তার বাজেট অনুযায়ী একটি দেশি গৃহস্থির গরু কিনবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অপরদিকে গরু বিক্রয় করতে আসা মোহাম্মদ শাহা আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি গত কোরবানির পরে দুটি গরু কিনে নিজের পরিশ্রমে বড় করেছি। এই গরু দুটি গত মঙ্গলবার প্রথম হাটে এনেছি। বাড়িতে অনেকেই কিনতে চেয়েছেন, কিন্তু আমার সাথে দামের গরমিল হওয়ায় বিক্রি করিনি। তিনি এই ষাঁড় দুটি দেড় লক্ষ টাকা দাম হাঁকালেও ক্রেতারা এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত বলেছেন। যেহেতু কোরবানির বাকি আরো সপ্তাহ খানেক আছে তাই ওই বিক্রেতার চাহিদা মতো দাম পাওয়ার আশায় রয়েছেন। পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে দাম একটু বেশি হলেও রাউজানে এখনো প্রচুর পরিমাণ গরুর যোগান রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাউজানে কোথাও গরু বিক্রির হাটে হাসিল নেয়া হচ্ছে না। তবে যারা বাজার বাসিয়েছেন খুঁটি প্রতি ৫০-১০০ টাকা নিচ্ছেন। তাও আবার গরু বিক্রি হলেই নেয়া হয়। স্থানীয়রা বলেছেন, রাউজানে চাঁদাবাজি ও হাসিল না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় সন্তুষ্ট। গত কোরবানে যে দেশি গরু ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামে বিক্রি হয়েছে তা এবার ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাউজান পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আবিদ মাহমুদ বলেন, গত বার যে দুটি গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছি, সে গরু এবারের বাজারে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি এবার বাজারে গরু কিনতে গিয়ে দামে না হওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বলেন এখনো আরো বেশ কয়েকটি হাট রয়েছে। সুযোগ বুঝেই বাজেট অনুযায়ী কিনে নেব। দামের ব্যাপারে মো. মাহফুজ আলম নামের এক মৌসুমী ব্যবসায়ী জানান, পশুর ক্রয়, পরিবহন খরচ, খাবারের দামসহ লালন-পালনের নানা খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী। সে কারণে গরু দাম একটু বেশী। এদিকে কোরবানি গরুর বাজারকে সামনে রেখে বেড়েই চলেছে গরু চুরির ঘটনা। এই সঙ্কায় খামারি, মৌসুমী ব্যবসায়ী সকলেই কাটাচ্ছে নির্ঘুম রাত। বিগত এক দশকে রাউজানের গরুর বাজারে চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের মত তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তবুও কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ জানান, কোরবানি পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা ও ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ বেচাকেনা করতে পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে এখানকার বাজারগুলোতে গরু বেচাকেনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।