গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে সেখানে ছিলেন বার্তা সংস্থা ইউএনবির নিজস্ব প্রতিবেদক এম জাহাঙ্গীর আলম।
সেসময় ওই অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সঙ্গে থাকা পুলিশ এ সাংবাদিকের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ, ছবি তুলতে বাধা প্রদান ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ‘নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ-এর (ইউডিজেএফবি)’ সভাপতি মতিন আবদুল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন, সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা প্রদান ও হেনস্তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনায় জড়িত ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ এপ্রিল সোমবার আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টায় মিরপুর থানার পেছনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ডিএনসিসি। এ অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ ইউএনবির নিজস্ব প্রতিবেদক এম জাহাঙ্গীর আলম মোবাইল কোর্ট কার্যক্রমের ভিডিও ধারণ করতে থাকলে বাধা প্রদান করেন।
পরবর্তীকালে পরিচয় জানতে চাইলে আইডি কার্ড দেখানোর পরও ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেয়। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বরত মিরপুর থানার এসআই সাদ্দাম এ প্রতিবেদকের সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুনকে টেলিফোনে জানানোর পর তিনি বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করলেও তথাপি প্রতিবেদককে ভিডিও ধারণ কিংবা ছবি তুলতে দেননি।
নেতারা দাবি করেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ সঠিক তথ্য দেশের মানুষের কাছে উপস্থাপন করা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এমন অপেশাদার আচরণ ও হয়রানি স্বাধীন সংবাদ সংগ্রহের অপচেষ্টার সামিল। এ ধরনের ঘটনা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে; যা মোটেই কাম্য নয়। অবিলম্বে এ হয়রানির ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি করেছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।