গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে শুধুমাত্র বাস ছাড়া সব ধরণের যানবাহন মোটামুটি চলছে। তবে এর মধ্যে রিকশার দখলে পুরো রাজপথ। ইচ্ছেমতো ভাড়া দাবি করছে এবং নিরুপায় হয়ে মানুষ গন্তব্য পৌঁছানোর জন্য বাড়তি ভাড়া দিবে বাধ্য হচ্ছে। ৫০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা আবার সিএনজি অটোরিকশাগুলো ২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা দাবি করছে। আর মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে আরও জঘণ্য অবস্থা। যেখানে আগে ১০০ টাকায় যেতো এখন ৫০০ টাকা দাবি করছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন চলছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে অফিস ও জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রিকশা, সিএনজি ছাড়া কোনো পরিবহনই পাচ্ছেন না নগরবাসী। কাছে কিংবা দূরে যেকোনো গন্তব্যে যেতে রিকশা কিংবা সিএনজিই এখন রাজধানীবাসীর একমাত্র ভরসা।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আসাদগেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
রাজধানীবাসীর অনেকের অফিস খোলা থাকায় বাইরে যেতে হচ্ছে। আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বা ওষুধের জন্যও কেউ কেউ বের হচ্ছেন। এদের অনেকেই বয়স্ক বা রোগী। তাদের পক্ষে দীর্ঘ পথ হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাইকে রিকশা নিয়েই গন্তব্যে ছুটতে হচ্ছে।
নিউমার্কেট থেকে রিকশাযোগে মতিঝিল যাচ্ছিলেন বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত মামুন খান । তিনি জানান, ‘অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার মতো অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। গাড়ি চলছে না। তাই বাধ্য হয়েই রিকশায় যেতে হচ্ছে। কষ্ট যত আমাদের মতো কর্মজীবী মানুষদের।’
রিকশার চাহিদা বেশি থাকায় রিকশাচালকরাও সুযোগে ভাড়া বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। রায়হান তালুকদার নামে একজন জানান, ‘আগে নিউমার্কেট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে ৪০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগত। এখন রিকশাচালকরা ১২০-১৫০ টাকা চাইছেন। এত বেশি ভাড়া দিয়ে কীভাবে যাব?’
তবে বেশিরভাগ রিকশাচালকই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের মতে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও যাত্রীদের যেভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন তাতে একটু বেশি ভাড়াই ন্যায্য।
হাসেম আলী নামে এক রিকশাচালক জানান, ‘আমরা লকডাউনে ঢাকায় থেকে মানুষের উপকার করছি। এছাড়া চাল-ডাল সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একটু বেশি টাকা না দিলে আমাদের সংসার চলবে কীভাবে?’
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়েছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও স্টাফ বাসের কারণে বেশ কিছু সড়কে হালকা যানজট দেখা গেছে।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ফলে গাড়ির চাপ একটু বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।