প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
করোনার জেরে আবারও আজ থেকে সারা দেশে লকডাউন। তবে বন্ধ হচ্ছে না নাটক-সিনেমাসহ অন্যান্য শুটিং। লকডাউনেও শুটিং বন্ধ না করে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকবে শুটিং। তবে সময়টা বদলে গেছে। আগে শুটিংয়ের সময় ছিল সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা। আর এখন হয়েছে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। তবে শুটিং করাকে অনুপ্রাণিত করছে না সংগঠনগুলো। বলা হয়েছে, একান্ত প্রয়োজনে কেউ চাইলে আজ থেকে সকাল ৬টায় শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শুটিং করতে পারেন। এ সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত আন্তসংগঠনের জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে একটি যৌথ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে শুটিং করতে হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অবশ্যই সেটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শিল্পী-কুশলী-নির্মাতাদের যৌথ সম্মতিতে হতে হবে।
এফটিপিও চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, টেলিপ্যাব সভাপতি ইরেশ যাকের ও সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির, ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর, অভিনয়শিল্পী সংঘ সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
সব সদস্যের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের সময় সকল প্রকার শুটিংয়ের কাজ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ংকর রূপ ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সামাজিক নিরাপত্তা উপেক্ষা করা সুবিবেচনাপ্রসূত হবে না। তাই সংশ্লিষ্ট সব শিল্পী কলাকুশলীদের এই ৭ দিন জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরুরি শুটিং কিংবা বিশেষ করে প্রচারিতব্য পর্ব হাতে নেই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আন্তসংগঠনের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ শেষ করে নিরাপদে গৃহে অবস্থান করুন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও শিল্পী, কলাকুশলীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে জোর করা যাবে না। এবং শুটিং শুরু ও শেষ করতে হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে।
আন্তসংগঠনের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, যদি সরকার সকল প্রকার কর্মকাণ্ড লকডাউনের মধ্যে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়, তাহলে শুটিংও বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসতে পারে।
উল্লেখ্য গত বছর লকডাউনের কারণে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল সব ধরনের শুটিং। লকডাউনের আগে নির্মিত নাটকগুলো ইউটিউবে প্রচার হলেও আটকে ছিল বহু সিনেমার মুক্তি। কারণ বন্ধ ছিল সিনেমা হল। কাজ না থাকায় কম আয়ের অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য কলাকুশলীরা সাহায্যের জন্য ঘুরেছেন দ্বারে দ্বারে। এছাড়া টাকা খাটিয়ে ছবি বানিয়ে তার থেকে কোনো আয় করতে পারেননি বহু প্রযোজক-পরিবেশক। সব দিক বিবেচনায় এবারের লকডাউনে শুটিং বন্ধ রাখছে না অভিনয় শিল্পী সংঘ। খোলা থাকছে সিনেমা হলও।
বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘যারা এই লকডাউনে এখনও কাজের সিডিউল তৈরি করেননি তাদেরকে কাজ করতে আমরা নিরুৎসাহিত করবো। তবে যাদের সিডিউল ও সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে তারা নিজ দায়িত্বে শুটিং করতে পারেন। তবে আমরা মনে করি, জীবনের চেয়ে কাজ বড় নয়। সবাই সচেতন হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
এদিকে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের বিষয়ে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুটিং বন্ধের বিষয়ে সরকারি কোনও নির্দেশনা না পাওয়ায় লকডাউনেও চলচ্চিত্রের শুটিং চলবে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।