বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত তরিকুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন মারা গেছেন। তিনি উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কালনা বিষ্ণুপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের জিয়াবাজার হারুনের ইটভাটার সামনে সংঘটিত দূর্ঘটনার পর মহাদেবপুর ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।
এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিঞা জানান, নিহত তরিকুলের পরিবার অত্যন্ত গরীব হওয়ায় রাতে নওগাঁ পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাকে দাফনের অনুমতি নেয়া হয়েছে। তার পরিবার এব্যাপারে থানায় মামলা করতে রাজি হননি বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় নজিপুর থেকে মহাদেবপুর আসার পথে একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো জ ০৪-০৩২১) মহাদেবপুর উপজেলার জিয়াবাজার হারুনের ইটভাটার সামনে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ডান পাশে একটি যাত্রীবাহী অটোচার্জারকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশের কয়েকফুট ভদুভাগ হয়ে যায়। বাসের ও অটোচার্জারের ২০ জন যাত্রী মারাত্মক আহত হন। কারো মাথা কেটে যায়, কারো পা ভেঙ্গে যায়, কারো হাত, কারো দাঁত ভেঙ্গে যায়। এদের মধ্যে ১১ জনকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। আশংকাজন অবস্থায় চারজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কালনা বিষ্ণুপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৪৫), বাসের সুপারভাইজার উত্তরগ্রাম গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩২), সফাপুর ইউনিয়নের পবাতৈড় গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে আফসার আলী (৬৫) ও নওগাঁ শহরের কুমারপাড়া মহল্লার আক্কাস আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৫)। গুরুতর আহত অন্যরা হলেন নওগাঁ শহরের আশিকুর রহমানের ছেলে আশরাফ আলী (২১), তোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদ আলম (৩৫), মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের মো: মিঠুর স্ত্রী শাহিনা বেগম (২১), মহিনগর গ্রামের আখের আলীর ছেলে নাহিদ (২৫), সোলাইমান আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৫), পতœীতলা উপজেলার বেঙডোম গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪০) ও দোঁচাই গ্রামের গণেশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে বিপ্লব কুমার মহন্ত (৫০)।
খবর পেয়ে মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে। মহাদেবপুর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মহাদেবপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা খোরশেদ আলম জানান, বাসের ষ্টিয়ারিং ও ব্রেক ফেল করায় ড্রাইভার বাসের নিয়ন্ত্রণ হারায়। কিন্তু ওই বাসের যাত্রী মারাত্মক আহত গোলাম মোস্তফা জানান, বাস চলন্ত অবস্থায় ড্রাইভার দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। যাত্রীরা তাকে বার বার শতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি কথা বলা বন্ধ করেননি। এক হাতে ষ্টিয়ারিং চালানোর ফলেই এই দূর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি দাবী করেন।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, গাড়ীটি জব্দ করা হবে। তবে ড্রাইভারকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে কেউ মামলা দায়ের করেনি বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।