নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচের ফলটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৪১ রানের পাহাড় ডিঙাতে করতে হত নতুন রেকর্ড। তা হয়নি। শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকা সফরকারি দল ফখর জামানের ‘নিষ্ফলা’ সেঞ্চুরিতে করতে পেরেছে ৩২৪ রান। প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭ রানের ব্যবধানে হারল বাবর আজমের দল। উদ্বোধণী ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত শতকটি তাই ব্যবধান কমানোর বাইরে কোন কাজে দেয়নি।
এরআগে আজ জোহান্সবার্গে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন পাক দলপতি। কিন্তু চার ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৪১ রান স্কোরবোর্ডে দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন। এছাড়া কুইন্টন ডি কক ৮০, র্যাসি ভ্যান দার ডুসেন ৬০ ও ডেভিড মিলান খেলেন অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস। হাসির রউফ তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া একটি করে শিকার শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন ও ফাহিম আশরাফের।
রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরে যান গত ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ইমাম-উল-হক। এরপর ফখরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বাবর। এই জুটিতে আশা দেখেছিল সফরকারিরা। তবে ব্যক্তিগত ৩১ রানে অধিনায়কের বিদায়ের পর ভেঙে যায় টপ অর্ডার। মোহাম্মদ রিজওয়ান (০), দানিশ অজিজ (৯), শাদাব খান (১৩), আসিফ আলি (১৯) ও ফাহিম আশরাফ (১১) রানে ফিরে যান। স্কোরবোর্ড তখন ২০৫/৭। ক্রিজে ব্যাটসম্যান বলতে কেবলই ছিলেন ফখর। জয় তখন প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করার কি দারুণ চেষ্টাই না করেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। শাদাবের সাথে ৩৫, আসিফকে নিয়ে ৬৬, ফাহিমের সাথে ১৯ ও ৮ম উইকেটে শাহিন আফ্রিদিকে নিয়েও করেছেন ৬৮ রানের জুটি। একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে প্রতিপক্ষের ঘাম ঝড়িয়েছেন। ১০ ছক্কা ও ১৮ চারে ১৯৩ রান করে রানআউটে কাটা পরেন তিনি। তখন প্রয়োজন ছিল ৫ বলে ৩০ রান। কিন্তু সে রান কে নেবেন? ক্রিজে থাকা রউফ ও পরে ব্যাটিংয়ে নামা হাসনাইন তা পারেননি। নর্টজে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া ফেলুকায়ো ২টি ও একটি করে শিকার রাবাদা, এনগিডি ও শামসার।
ড্রেসিংরুমে আগেই ফিরে যাওয়া বাবর-ইমামদের হয়তো মনে হচ্ছিল আর একটু সময় টিকে থাকলে জিততে পারতাম। তবে সেটা আক্ষেপ ছাড়া আর কিছুইনা। দু’দিন পর সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ওয়ানডেতে এই আক্ষেপ ঘুচানোর সুযোগ থাকছে পাকিস্তানের সামনে। সেই ম্যাচটিই হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। অঘোষিত ফাইনাল!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।