বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বৈসাবি উৎসবে মেতেছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র-নৃ-জনগোষ্ঠীরা। বাংলা বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসবকে পাহাড়ের সম্প্রদায়েরা ভিন্ন নামে পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। মারমা ভাষায় সাংগ্রাইং, ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিষু এবং চাকমা ভাষায় বিজুর সংক্ষেপিত রূপ হচ্ছে বৈসাবি। পাহাড়ি চার সম্প্রদায়ের প্রধান এই সামাজিক উৎসবকে সমষ্টিগতভাবে বলা হয় বৈসাবি। মহামারি করোনাভাইরাস গ্রাস করে নিয়েছে মানুষের দৈনদিন জীবনযাত্রা। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। করেনা সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে এবারও পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব ঘিরে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। গেলো বছরও একই কারণে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসবের কোনো আয়োজন ছিলো না। ইতোমধ্যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠনগুলো উৎসব না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘরে ঘরে পালন করা হবে দিনটি।
এর আগে জেলা প্রশাসন থেকে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনন্ত ত্রিপুরা জানান, করোনার এমন পরিস্থিতিতে উৎসব আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই।
এবারও কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখিনি। সবাইকে ঘরে ঘরে ছোট পরিসরে দিনটি উদযাপনের জন্য বলছি। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটা জরুরি।
মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে উৎসব পালনের চেয়ে নিজেরা বেঁচে থাকাটা জরুরি প্রশাসন থেকেও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আছে। করোনার প্রকোপ কমে গেলে দ্বিগুণ আনন্দে উৎসব আয়োজন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।